বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বাংলাওয়াশ
টানা দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশ। এবার শেষ ম্যাচের জয়ে ইংলিশদের ‘বাংলাওয়াশ’ করলো সাকিবরা। এবার সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংলিশদের ১৬ রানে হারিয়ে বাংলাওয়াশের স্বাদ দিল টাইগাররা। যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমবার এমন কীর্তি গড়ল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে লিটন দাসের ফিফটি ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৬ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সফরকারীরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সল্টকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অভিষিক্ত তানভীর ইসলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার প্রথম উইকেট।
প্রথম উইকেট পতনের সেই ধাক্কা ভালোমতো সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছেন ডেভিড মালান ও অধিনায়ক জস বাটলার। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছেন দাভিদ মালান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জস বাটলার। তাদের ব্যাটে ইনিংসের মাঝপথে ভালো অবস্থায় আছে ইংল্যান্ড। আগের ম্যাচে আলো ছড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজ বল পেলেন দ্বাদশ ওভারে। প্রথম তিন বলে তাকে একটি করে চার ও ছক্কা মারলেন জস বাটলার। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি স্পর্শ করলেন দাভিদ মালান। সাকিব আল হাসানের করা ১৩তম ওভারে কোনো বাউন্ডারি আসেনি, তবে এ ওভারে ১০০ পেরিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
কিন্তু মোস্তাফিজের বলে মালান ও মিরাজের দুরন্ত থ্রোয়ে যখন বাটলার আউট, তখনই যেন ম্যাচ হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে। শেষের কঠিন সমীকরণ মেলাতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলটির ইনিংস শেষ হয় ৬ উইকেটে ১৪২ রানে।
এরপর মঈন আলিকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ৯ রান করা এই অলরাউন্ডারকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান এই পেসার। একই ওভারের শেষ বলে বেন ডাকেটকে বোল্ড করেন তাসকিন। এর ফলে ২ উইকেটে ১০০ থেকে ১২৩ এ পৌঁছাতে আরও তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই স্যাম কারানকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর লেগের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলে ইংল্যান্ড।
বল হাতে দুর্দান্ত করেছেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান। উইকেট একটি। তাসকিন দুটি, তানভীর ও সাকিব নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ৭৩ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন ওপেনার লিটন দাস। ৫৭ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ৪৭ রানে শান্ত থাকেন অপরাজিত। ২২ বলে ২৪ রান করেন ওপেনার রনি তালুকদার।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন