আফগানিস্তানকে ২৫৩ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর হাফ-সেঞ্চুরির পর শেষ দিকে অভিষিক্ত জাকের আলি ও নাসুম আহমেদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে জয়ের জন্য ২৫৩ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করে টাইগাররা। দলের পক্ষে শান্ত সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। জাকের ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ এবং নাসুম ২৪ বলে ২৫ রান করেন।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের প্রথম তিন ওভারে ৩টি চার মারেন তিনি। চতুর্থ ওভারে আগের আল্লাহ গজানফারের প্রথম ডেলিভারিতে ছক্কা মারেন তানজিদ। কিন্তু পরের বলে মিড অনে মোহাম্মদ নবীকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৭ বলে ২২ রান করা এই বাঁ-হাতি ওপেনার।
দলীয় ২৮ রানে তানজিদ ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক শান্ত। তিন অঙ্কের খুব কাছে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। দলীয় ৯৯ রানে স্পিনার রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সৌম্য। রিভিউ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় রশিদের ডেলিভারি লেগ স্টাম্পের লাইনের বাইরে পিচ করেছিলো। অর্থাৎ রিভিউ নিলে উইকেট বাঁচাতে পারতেন সৌম্য। ২টি করে চার-ছক্কায় ৪৯ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। শান্তর সাথে জুটিতে ৯৩ বলে ৭১ রান যোগ করেন সৌম্য।
সৌম্যর পর তৃতীয় উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজের সাথেও হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন শান্ত। এই জুটিতে ৪৭ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নবম ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ৭৫ বল খেলা টাইগার দলনেতা।
শান্তর হাফ-সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ২২ রানে রশিদের গুগলিতে বোল্ড হন মিরাজ। পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। বাঁ-হাতি স্পিনার নাঙ্গোলিয়া খারোতের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে সেদিকুল্লাহ আতালকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৬ বলে ১১ রান করেন হৃদয়।
হৃদয়কে শিকারের পর বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন খারোতে। ইনিংসের ৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শান্তকে ও পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে আউট করেন খারোতে। ক্রিজ থেকে বেরিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে লং-অফে ক্যাচ দেন শান্ত। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১৯ বলে ৭৬ রান করেন শান্ত। ৯ বলে ৩ রান তুলে থামেন মাহমুদুল্লাহ।
৪১তম ওভারে দলীয় ১৮৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহের পথে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। কিন্তু সপ্তম উইকেটে উইকেটরক্ষক জাকের ও নাসুমের ৪১ বলে ৪৬ রানের জুটিতে লড়াকু সংগ্রহের পথ পায় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের পেসার ফজলহক ফারুকির করা ৪৭তম ওভারে জাকেরের দুই ছক্কা ও নাসুমের এক চারে ১৮ রান পায় বাংলাদেশ।
১টি ও ২টি ছক্কায় ২৪ বলে ২৫ রান করে গজানফারের বলে নাসুম বোল্ড হলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে ২৫২ রানের পুঁজি এনে দেন জাকের। ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৭ বলে অনবদ্য ৩৭ রান করেন জাকের।
খারোতে ২৮ রানে ৩টি, গজানফার ও রশিদ ২টি উইকেট নেন। সূত্র: বাসস