সোনাতলার চাঞ্চল্যকর সংখ্যালঘু মেয়ে অপহরণের মুল আসামীসহ ভিকটিম উদ্ধার
র্যাব তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতেই খুন, অপহরণ, জঙ্গীদমন, ছিনতাই, চাঁদাবাজ, চুরি, অবৈধ মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করাসহ দূস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে এবং র্যাব-১২ এর সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্পের আওতাধীন এলাকাগুলিতে ব্যাপকভাবে সফলতা অর্জন করেছে। গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ সার্বক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে র্যাব ইতিমধ্যে জনগনের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার সোনাতলার চাঞ্চল্যকর সংখ্যালঘু অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে‘কে লিজু মিয়াসহ কয়েকজন আসামী রাত্রি অনুমান ৯.২০ ঘটিকায় ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে ভিকটিম ‘কে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করবে বলে জোরপূর্বক অপহরণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বগুড়া জেলার সোনাতলা থানায় ০৪ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন (সোনাতলা থানার মামলা নং-১৭ তারিখ ২৬/০৪/২০১৯ ইং)। পরবর্তীতে দিন অতিবাহিত হলেও কোনপ্রকার আশানুরুপ ফল না পেয়ে ভিকটিমের পিতা এ সংক্রান্তে সংবাদ সম্মেলন করলে বিষয়টি র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্পের নজরে আসে।
পরবর্তীতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধারে ব্যাপক গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে এবং বগুড়া জেলার সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। সর্বশেষ, অদ্য ১৪ মে ২০১৯ তারিখ ভোর অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া এর একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার সোনাতলা হতে অপহরণের সহযোগী মোঃ বকুল মিয়া (৩০), পিতা-আব্দুল খালেককে এবং শেরপুর থানাধীন ডিজে হাই স্কুল খেলার মাঠের পূর্ব পার্শ্ব হতে অপহরণকারী ০১ নং মূল আসামী মোঃ লিজু মিয়া (১৭), পিতা-মোঃ বেলাল হোসেন মুক্তি, ০৪ নং আসামী মোঃ বিশাল (১৮), পিতা-মোঃ মুকুল প্রাং এবং মূল সহযোগী মোঃ মিন্টু মিয়া (২৭) ‘কে গ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
র্যাবের এ ধরনের চাঞ্চল্যকর অপরাধ বিরোধী আভিযানিক কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরো জোরদার করা হবে। আইন শৃংখলা বাহিনীর এ ধরনের তৎপরতা বাংলাদেশকে একটি অপরাধমুক্ত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।