প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০১৯ ০২:৩০

শাহজাদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরি ধর্ষণের শিকার

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
শাহজাদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরি ধর্ষণের শিকার
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের রিকশা চালক নুরুল ইসলামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে মোছাঃ রত্না খাতুন (১৫) কে একই গ্রামের আমিরুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে আব্দুল মমিন মুন্না (২২) ফুসলিয়ে যমুনা নদীর ধারের কাঁশবনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় গত ৯ জুন রোববার দুপুরে ধর্ষিতার বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় ধর্ষক আব্দুল মমিন মুন্না (২২) কে একমাত্র আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৩,তারিখ ৯/৬/২০১৯ ইং। এ দিনই আদালতের নির্দেশে ভিকটিম রত্নার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

ধর্ষিতার মা মনোয়ারা বেগম জানান,গত ৭ জুন শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশের যমুনা নদীর ধারের চরা থেকে রত্না ছাগল আনতে যায়। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত মমিন তাকে ফুসলিয়ে পাশের কাঁশবনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে রত্নার দাদি ফজিলা খাতুন ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। অবর দিকে লম্পট মমিন তার আগমন টের পেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই বিষয়টি গ্রাম প্রধানদেও জানালে তারা শালিশ বৈঠকের চেষ্টা কওে ব্যর্থ হয়। ফলে নিরুপায় হয়ে তারা থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর থেকে মমিন ও তার বাবা মা পলাতক রয়েছে।

এ ব্যাপারে মমিনের ফুপু নাহার খাতুন ও চাচা খালিদ হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার কওে বলেন,আমরা কিছু টাকা পয়সা দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি। আশাকরি ২/৩ দিনের মধ্যে এটা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এ ব্যাপাওে কৈজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,আসামী পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু বাদী পক্ষ আসেনি। উভয়পক্ষ শালিশ বৈঠকে বসতে সম্মত হলে তাদেও নিয়ে বসা হবে। এতে সমাধান না হলে আইন অনুযায়ী এর বিচার হবে।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন,মামলার তদন্ত চলছে। আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

উপরে