প্রকাশিত : ২২ জুন, ২০১৯ ০৫:২১

উত্তর সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পরীক্ষার্থীসহ আটক ১৪

অনলাইন ডেস্ক
উত্তর সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পরীক্ষার্থীসহ আটক ১৪

বগুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা ও মুঠোফোনের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পরীক্ষার্থীসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। শক্রবার পরীক্ষা শুরুর পর শহরের পুরান বগুড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেক।

আটক লোকজনের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী। তাঁরা বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটক অন্য তিনজনের মধ্যে রয়েছেন সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের দুজন ও বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের একজন পরীক্ষার্থী।

আটক ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার হাসানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুমন মিয়া (২৩), সিজু মিয়া (২১), হারুনুর রশীদ (২৯), একই উপজেলার মংলাপাড়া গ্রামের মেহেদী হাসান (২৩), ফুলছড়ি উপজেলার পারুলের চরের আহসান হাবিব (২৪), বগুড়ার শেরপুরের সালফা গ্রামের নিয়োগ পরীক্ষার্থী হাসনা-তুজ-জাহান (২৩) ও সাইফুল ইসলাম (৩৫), দুপচাঁচিয়া উপজেলার অর্জনগাড়ি গ্রামের আলমগীর কবির (২২), সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের ওবায়দুর রহমান (৩০), নন্দীগ্রাম উপজেলার পিংহাজারকি গ্রামের ঈসমাইল হোসেন (২৮), শিবগঞ্জ উপজেলার চাপাচিল গ্রামের সালাফি হোসেন (২১), দেউলী উত্তরপাড়ার সিজু সরদার (২২), কাহালু উপজেলার জামগ্রামের রাজু মিয়া (২৩) ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার লক্ষীকোলা গ্রামের ইউনুস আলী (২৫)।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মুঠোফোনে কেন্দ্রের বাইরে প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীর কাছে মুঠোফোনে উত্তর সরবরাহে জড়িত থাকায় পরীক্ষার্থীসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা না দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

বগুড়া শহরের ৩৭টি কেন্দ্রেসহ জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে মোট ৩১ হাজার ৯৯৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষায় অংশ নেন।

উপরে