প্রকাশিত : ৫ জুলাই, ২০১৯ ০৮:০২

বিকাশ প্রতারকের হাত থেকে গণমাধ্যম কর্মী সহ কেউ রেহাই পাচ্ছে না

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বিকাশ প্রতারকের হাত থেকে গণমাধ্যম কর্মী সহ কেউ রেহাই পাচ্ছে না

বিকাশ প্রতারকের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না গণমাধ্যম কর্মী, সরকারি চাকুরীজীবি ও সাধারণ জনগণ। এই প্রতারকরা বিকাশ নাম্বার হ্যাক করে গ্রাহকের নিকট থেকে ইচ্ছেমত টাকা আদায় করছে। বিপাকে পড়ছে বিকাশধারী গ্রাহকরা।

জানা যায়, দৈনিক বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা প্রতিনিধি হাফিজুর রহমানের মোবাইলে (০১৬৪১৯১৭৭৯৮) নাম্বার থেকে একটি ফোন দেয়া হয়। এ সময় এ প্রতিনিধিকে পরিচয় দেয় তারা বিকাশ থেকে কথা বলা হচ্ছে। জিজ্ঞাসা করে বলা হলে কেন ফোন দিয়েছেন উত্তরের তারা বলেন আপনার বিকাশ নাম্বারটি বাতিল হয়েছে। কেন? বাতিল হয়েছে এই উত্তরে তারা জানান, বিকাশ নাম্বারটি খোলার সময় আইডি কার্ডের নাম্বার ভুল দেয়া হয়েছিল। সেই কারণে নাম্বারটি এখন বন্ধ করা হয়েছে।

এটি চালুর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা প্রথমে জানান আপনাকে ঢাকায় আসতে হবে। আর যদি ঢাকায় না আসতে পারেন তাহলে আমরা আপনাকে ৫টি সংখ্যার একটি পিন নাম্বার দিচ্ছি। আপনি আপনার মোবাইলের ক্যালকুলেটরে আপনার পিন নাম্বার এর সাথে এই নাম্বাটি যোগ করে নেন। তারপর ২৫ হাজার টাকা বিকাশ থেকে আপনার নাম্বারে সেন্ট করেন। একই সাথে তারা বলেন আপনার নাম্বার যেহেতু বন্ধ রয়েছে টাকাটি ঢুকবে না। ওই নাম্বারটি কেবল মাত্র আপনার পিন নাম্বার হিসাবে ব্যবহার হবে। এবিষয় নিয়ে তাৎক্ষনিক অভিজ্ঞ এক বিকাশের দোকানে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি খুলে বললে ওই বিকাশওয়ালা এজেন্ট তাদেরকে প্রতারক হিসেবে চি‎ি‎হ্নত করেন এবং বিকাশের পিন নাম্বারটি পরিবর্তন করে দেন। এসময় বিকাশের এজেন্ট জানান আপনি যদি সচেতন মানুষ না হতেন তাহলে আজ আপনার ২৫ হাজার টাকা খোয়া যেত।

অনুরূপ ঘটনার স্বীকার হয়েছেন কয়েকজন সরকারি চাকুরীজিবী। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক সরকারি কর্মকর্তা জানান, তাদের মোবাইল হ্যাক করে বিকাশ একাউন্ট থেকে বিকাশে রক্ষিত টাকা গুলো প্রতারণা করে নেয়া হয়েছে। বিকাশ আতংকে ভুগছে এ অঞ্চলের সকল শ্রেণীর মানুষ। এ বিষয়টির প্রতি প্রশাসনিক দ্রুত গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগী বিকাশ গ্রাহকরা জানান।

উপরে