বগুড়ায় ছিনতাইয়ের ৪ ঘণ্টা পর ইজিবাইক উদ্ধারঃ ডিবির অভিযানে গ্রেফতার ৪
![বগুড়ায় ছিনতাইয়ের ৪ ঘণ্টা পর ইজিবাইক উদ্ধারঃ ডিবির অভিযানে গ্রেফতার ৪](./assets/news_images/2019/07/22/CB19072202.jpg)
বগুড়ার শেরপুরে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।গ্রেফতার হওয়া ছিনকারীরা হলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল মসজিদ পাড়া এলাকার আনছার আলীর ছেলে আলম আলী(২৮), একই উপজেলার বর্ষন দক্ষিণপাড়ার মৃত তফিজ প্রাং এর ছেলে জিয়াউল হক তানসেন(৪১), শাজাহানপুর উপজেলার শাজাপুরের হাফিজার ফকিরের ছেলে বেলাল ফকির(২২)এবং একই উপজেলার চকধুরাহার বারীপাড়ার ইসমাইল প্রাং এর ছেলে আয়নুর প্রাং(৪৫)। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ইজিবাইকসহ একটি মোবাইল ফোন, দুইটি চাকু উদ্ধার করে ডিবি। তবে ইজিবাইক চালক আসাদুল ইসলাম(৪০)অক্ষত রয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, চালক আসাদুল শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিদিনের মতো শেরপুর বাসট্যান্ডে যাত্রির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় গ্রেফতার হওয়া ছিনকারীরা যাত্রিবেশে সেখান থেকে আকরামপুরে গ্রামের দিকে যেতে বলেন।এর জন্য আসাদুলের সাথে তাদের ৪০০ টাকার ভাড়া ঠিক হয়।
এক ঘন্টার মধ্যে বোডেরহাট নির্জন এলাকায় পৌছালে বাম পাশে বসা আলম আকস্মিকভাবে আসাদুলের গলা টিপে ধরে। এসময় তানসেন, বেলাল ও আয়নুর চালককে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে ফেলে। তারপর আসাদুলের পরহিত লুঙ্গি চক্সহিড়ে চোখ বেঁধে টেনে হিচরে মাটিতে নামায়। এসময় তারা চালকের মুখে লুঙ্গির টুকরোও গুজে দেয় ফলে সে চিৎকার করতে ব্যর্থ হয়। বোডেরহাট আলাকা থেকে ৫০০ গজ দূরে এক শ্যালো মেশিন ঘরে চালককে উলঙ্গ করে আটকে রাখে। এসময় চালকের কাছে থাকা মোবাইল ফোনসহ ইজিবাইক নিয়ে ছিনকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর চালকের গোঙ্গানির শব্দ শুনে স্থানীয় কয়েকজন লোক এগিয়ে আসে। তারপর সেখান থেকে চালক আসাদুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে চালক ছিনতাইয়ের ঘটনা শেরপুর থানায় জানিয়ে বাসায় ফিরে যায়। পরে রাত আড়াইটার দিকে খবর পান শাহাজানপুর থানা এলাকায় ডিবি পুলিশের অভিযানে ইজিবাইকসহ ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
ছিনকারীদের গ্রেফতারের বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইন্সপেক্টর আছলাম আলী জানান, গ্রেফতার হওয়া চারজনই পেশাদার ছিনতাইকারী। এর মধ্যে আলমের বিরুদ্ধে বগুড়ার বিভিন্না থানায় ৫টি মামলা চলমান রয়েছে।তিনি আরও জানান, ছিনকারীদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।