প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০১৯ ১৬:২৫

নওগাঁ সদর থানায় উৎকোচ নিয়ে মাদকসেবীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ সদর থানায় উৎকোচ নিয়ে মাদকসেবীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
ছবি: প্রতীকী

নওগাঁ সদর উপজেলায় মোটা অংকের মাসোয়ারা নিয়ে জামিল মোল্লা নামে এক মাদক সেবীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এএসআই মাহাবুব নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় এইচএসসি পাশ করা এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েও মাদক মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে নওগাঁ সদর থানায় এ দেন দরবারের ঘটনা ঘটে। জামিল মোল্লা সদর উপজেলা চন্ডিপুর ইউনিয়নের চুনিয়াগাড়ী গ্রামের বেলাল মোল্লার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এএসআই মাহাবুব চুনিয়াগাড়ী গ্রামের সোনারপাড়া থেকে মাদক ব্যবসায়ী মৃত আজিজার রহমানের ছেলে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী আলম হোসেনকে(২৯) আটক করে ওই গ্রামের ত্রিমোহিনী স্লুইচগেটের উপর নিয়ে যায়। সেখানে আলম হোসেনের মুঠো ফোনে মাদক নেয়ার জন্য বেলাল মোল্লার ছেলে জামিল মোল্লা(২৫) কল দিলে কৌশলে তাকে স্লুইচ গেটে ডেকে নেয়া হয় এবং তাকে আটক করা হয়। এর কিছু পর আলম হোসেনের মুঠো ফোনে চলতি বছরের এইচএসসি পাশ করা নজরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে রাশেদ মোল্লা কল দিলে তাকেও কৌশলে ডেকে নিয়ে আটক করা হয়। তিনজনকে আটক করে মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা সম্ভব না হওয়ায় এএসআই মাহাবুব তার মোটরসাইকেলটি স্থানীয় আব্দুল মালেকের ছেলে শামিমের মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর একটি ব্যাটারি চালিত চার্জারে মাদক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

রাতেই দেন দরবার শেষে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাদকসেবী জামিল মোল্লাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। শুক্রবার সকালে শিক্ষার্থী রাশেদ মোল্লাকে ছেড়ে দেয়ার শর্তে এএসআই মাহাবুব ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। রাশেদ মোল্লা ১০ হাজার দিলেও চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় তাকেসহ আলম হোসেনকে আদালতে চালান দেয়া হয়।

শিক্ষার্র্থী রাশেদ মোল্লার বাবা নজরুল ইসলাম ও চাচা বেদারুল ইসলাম বলেন, রাশেদের কাছে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। সকাল ৭টার দিকে আমরা থানায় আসতে পারলে তাকে ছেড়ে দিতো বলে থানা থেকে জানানো হয়। যেহেতু আসতে দেরী হয়েছে এজন্য থানায় ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় নকিম উদ্দিন বলেন, আমাদের উপস্থিতিতে প্রায় ২৫-৫০ গ্রাম গাঁজা দেখানো হয়েছিল। যখন আসামীদের আদালতে পাঠানো হয় তখন আসামীদের পক্ষ থেকে তাদের আত্মীয়স্বজন মামলার ফরওয়ার্ডিং উঠায়। সেখানে দেখা যায় তিনগ্রাম পরিমাণ হিরোইন যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৭হাজার টাকা উল্লেখ করা ছিল। অথচ আমার সামনে থেকে গাঁজাসহ আলম হোসেনকে আটক করা হয় এবং আমাকে ১ নম্বর স্বাক্ষী করা হয়েছে।

নওগাঁ সদর থানার এএসআই মাহাবুব মোবাইল ফোনে কথা বলতে রাজী নয়। তিনি সাক্ষাতে এ বিষয়ে কথা বলতে বলেন। নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখবো বলে জানান তিনি।

উপরে