প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০১৯ ১৭:২৯

নন্দীগ্রামে সমিতির ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে ব্যবসায়ী লাপাত্তা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
নন্দীগ্রামে সমিতির ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে ব্যবসায়ী লাপাত্তা

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট বাজার ব্যবসায়ীদের কুরবানীর সঞ্চয়ের ৩০ লাখ টাকা নিয়ে গ্যাসলাইট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক (৩৫)  লাপাত্তা হয়েছে। প্রতারক রাজ্জাক ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তেঘরী গ্রামের মৃত: আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। ভুক্তভুগি ব্যবসায়ীরা জানান, রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বাজারে গ্যাসলাইট মেরামত ও নতুন গ্যাসলাইট বিক্রি করত।

বাজারের ১২০ জন দোকানী প্রতি বছরে কুরবানী দেবার জন্য মুনাফাবিহীন প্রতিদিন ৩০০, ২০০, ১০০ এবং কেউ সর্বনিম্ন ৫০ টাকা সঞ্চয় জমা রাখত। দোকানীদের হিসাব অনুযায়ী গড়ে প্রতি বছর ৩০ লাখ টাকা জমা ছিল। ব্যবসায়ীরা ক্যাসিয়ার হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক এর নিকট টাকা গুলো জমা রাখত। গত তিন বছর ধরে সে কুরবানী সমিতির এ সঞ্চয়ের টাকা কুরবানীর ১০ থেকে ১৫ দিন আগে পরিশোধ করত।

কিন্তু গত ২৫ শে জুলাই প্রত্যেক সদস্য কে টাকা দেবার কথা বলে তাদের পাশবহি নিজের কাছে নিয়ে নেয়। এমতাবস্থায় কয়েকদিনেও টাকা না দিলে ব্যবসায়ীরা রাজ্জাকের ভাড়া বাড়িতে গেলে তারা তালা ঝুলতে দেখে। তখন ব্যবসায়ীরা তার নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি।

সমিতির সদস্য ডা: আনসার জানান, তিনি ৫৫ হাজার ৬শ টাকা, কসমেটিক ব্যবসায়ী রনি ৩৮ হাজার ৫শ টাকা, ছালাম ৩৪ হাজার ৩শ টাকা, মুদি দোকানী শাজাহান ২লাখ টাকা, মতিন ৩৬ হাজার টাকা, তাহের ৩৫ হাজার ৭শ টাকা মোজাহার ১২ হাজার টাকা সহ  এরকম আরো ১২০ জন ব্যবসায়ী  টাকা জমা রেখেছিলেন। কসমেটিক ব্যবসায়ী ছালাম জানান, আমরা কুরবানীর জন্য যে টাকা জমিয়েছিলাম তার সব টাকা নিয়ে পালিয়েছে রাজ্জাক।

এখন আমরা কিভাবে কুরবানী দিবো। তিনি আরো বলেন প্রতারক রাজ্জাক কে  তারাতারি আইনের আওতায় এনে তাদের কষ্টের টাকা যেনো তারা ফিরে পান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির জানান, এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি মামলা হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপরে