নেশার টাকার জন্য ভাগনের মোটরসাইকেল নিতে গিয়ে মা-ছেলেকে হত্যা!

বগুড়ার শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মা–ছেলে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি আদালতে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
তাঁরা বলেন, নেশার টাকা জোগাতে ঋণ করেছিলেন, সেই ঋণ শোধে টাকার প্রয়োজন ছিল। টাকার জন্য নজর পড়ে কলেজপড়ুয়া ভাগনের মোটরসাইকেলের দিকে। সেই মোটরসাইকেল নিতে গিয়ে বাধা পাওয়ায় তারা প্রবাসীর স্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানার আদালতে পর্যায়ক্রমে এই জবানবন্দি দেন তিন আসামি।
আদালত তাঁদের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন বগুড়া আদালত পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একডালা গ্রামের জিসান (২০), একই এলাকার সৈকত (২০) ও হাতিয়র মণ্ডলপাড়ার মাহি ইসলাম (১৯)।
এর আগে শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, নিহতরা হলেন কুয়েতপ্রবাসী ইদরিস আলীর স্ত্রী রানী বেগম (৪০) ও তাঁদের একমাত্র ছেলে ইমরান হোসেন (১৮)।
ইমরান বগুড়া শহরের ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঘটনার পর রানী বেগমের বাবা বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় জিসানকে, যিনি নিহতদের আত্মীয়ও বটে।
পুলিশ বলছে, হত্যার পেছনে মূল প্ররোচনা ছিল নেশাজনিত অর্থসংকট।