প্রকাশিত : ২ এপ্রিল, ২০১৯ ১৮:১৪

'জান্নাত' এবার ইউটিউবে

অনলাইন ডেস্ক
'জান্নাত' এবার ইউটিউবে

গত ১০ মার্চ থেকে ১০০ পর্বে এটিএন বাংলায় প্রচার হলো আরএফএল ফার্নিচার নিবেদিত তুর্কি সিরিয়াল ‘জান্নাত’। জনপ্রিয় এই তুর্কি ডেইলি সোপ প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টায় প্রচারিত হচ্ছে। এবার বঙ্গবিডির ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত এই সিরিয়ালটি। 

বঙ্গ’র পরিচালক মুশফিকুর রহমান মঞ্জু জানান, গত সপ্তাহ থেকে বঙ্গের ইউটিউব চ্যানেলে জান্নাত পাওয়া যাচ্ছে। দর্শক চাইলে সেখান থেকে দেখতে পারবেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে দেশি টিভি চ্যানেলগুলোর পাশাপাশি ভারতীয় টিভি চ্যানেলের নাটক, ডেইলি সোপগুলো কম জনপ্রিয় নয়, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশিই। ভারতীয় অনুষ্ঠানগুলোত সাথে আমাদের সাংস্কৃতিক দূরত্বের চেয়ে ধর্মীয় দূরত্বই প্রধান। কারণ, ‘জান্নাত’ আমাদের মতোই মুসলিম প্রধান দেশ তুরস্কের ডেইলি সোপ। ‘জান্নাত’ এর দর্শকপ্রিয়তার এটাও একটা উল্লেখযোগ্য কারণ বলে আমরা মনে করি।
 
এক এতিম মেয়ের জীবনসংগ্রামকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে তুর্কী সিরিয়াল ‘জান্নাত’। দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হওয়া মেয়েটি আর্কিটেক্ট হয়ে তার স্বপ্নের ফার্মে যখন চাকরি পায়, তখন সে ভাবতে শুরু করে তার জীবনের দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়ে সাফল্য ধরা দিতে শুরু করেছে। কিন্তু, সেই চাকরি পাওয়ার ঘটনা থেকেই তার জীবনে নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাকে ফেলে যাওয়া মা ফিরে আসে আবার। তবে মাতৃসুলভ ভালোবাসা নিয়ে ফিরে আসেনা মা, তীব্র বিদ্বেষ নিয়েই তার জীবনে আবির্ভূত হয় মা। অন্যদিকে তার জীবনে যে প্রেম আসে, সেখানেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়ায় তার মায়েরই মেয়ে। এমন গল্প নিয়েই ‘জান্নাত’। 

আরএফএল প্লাস্টিক নিবেদনে 'জান্নাত'-এর পাওয়ার্ড বাই রিগ্যাল ফার্নিচার। প্রচারের পরেই জনপ্রিয়তা পাওয়া এই সিরিয়ালটি বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গ’। ডাবিং করেছে ‘প্ল্যাটফর্ম’। আর পরিবেশনা করছে ‘ভি থ্রী কমিউনিকেশন্স প্রাইভেট লিমিটেড’। ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তুর্কি ডেইলি সোপ ‘জান্নাত’ পরিচালনা করেছেন সাদুল্লাহ জেলেন। প্রচারিত হয়েছে তুরস্কের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় চ্যানেল ‘এটিভি’-তে। 

তুর্কি ডেইলি সোপটি মূলত নির্মাণ করা হয় তুমুল জনপ্রিয় কোরিয়ান ডেইলি সোপ ‘টিয়ার্স অব হ্যাভেন’-এর কাহিনি অবলম্বনে। কোরিয়ান ডেইলি সোপটি পরিচালনা করেন য়ু জি-ওয়োন। কাহিনি রচনা করেন কিম ইয়োন-শিন।

উপরে