রংপুরে লেপ-তোশক বানানোর কাজ শুরু করেছেন কারিগরা
আগাম প্রস্তুতি হিসেবে অনেকে ইতোমধ্যে লেপ-তোশক বানানোর কাজ শুরু করেছেন। তবে লেপ-তোশক বানানোর উপকরণের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে কারিগরদের মজুরি। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার বাড়তি দাম গুনতে হবে ক্রেতাদের। রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা দোকানে লেপ-তোশকের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। ধুনকররাও লেপ-তোশক বানাতে শুরু করেছেন। শীত বাড়ার সঙ্গে ভিড় বাড়ছে লেপ-তোশকের দোকানে শহরের ৫ ফিট ৭ ফিট সাইজের জাজিম তৈরিতে মজুরি নিচ্ছেন ৩৫০-৪০০ টাকা, ৬ ফিট ৭ ফিট সাইজের জাজিমে ৪৫০-৫০০ টাকা, ৪ হাত ৫ হাত সাইজের লেপ বানানোর মজুরি ৩০০ টাকা, ৫ হাত বাই ৫ হাত সাইজের ৪০০ টাকা, ৬ ফিট বাই ৭ ফিট সাইজের তোশক ৩০০ টাকা এবং ৫ ফিট বাই ৭ ফিট সাইজের তোশক ২০০ টাকা। যা গত বছরের তুলনায় আইটেম ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি। অনেকে আবার পুরোনো লেপ-তোশক ঠিকঠাক করে নিচ্ছেন। শীত বাড়লে ব্যস্ততাও বাড়বে। ভরা মৌসুমে কারিগরদের সংখ্যাও বাড়বে। এক বছরের ব্যবধানে মজুরি বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মিলন মিয়া বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামতো কমে না। আগের মতো ব্যবসাও নেই। এখন অনেকে রেডিমেডের ওপর নির্ভর করেন। বছরের এ সময়টা ধুনকরদের আয়ের একটা সময়। একজন কারিগরের সারাদিনের আয় দিয়ে যদি ঠিকমতো সংসারের খরচ না জোটে তাহলে তো তারা এ পেশা ছেড়ে দেবেন। এছাড়া লেপ-তোশক বানানোর যে উপকরণ তার দাম প্রতিবছর বাড়ছে। এসব কারণে এবার মজুরি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে মৌসুমী কারিগরদের কাছে কিছুটা কম মজুরিতে মিলছে লেপ-তোশক।’ শহরের বিভিন্ন দোকান থেকে তাদের কাছে অর্ডার আসে। শীতের এ সময়টা তাদের ব্যস্ততা বাড়ে। তবে শীত এখনো পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় তেমন চাপ নেই। প্রতিদিন ৪-৫টা করে লেপের অর্ডার পাচ্ছেন। ভরা শীতে ১৫-২০টা পর্যন্ত লেপ বানাতে হয়। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জায়গা, সুতা ও শ্রমিকদের তৈরি করা হয়েছে।
