প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ ২০:৫৯

জাপান-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলেছি, আর...

অনলাইন ডেস্ক
জাপান-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলেছি, আর...
লাওসকে ভয় পাচ্ছেন না কিরগিজস্তান ম্যাচের নায়ক সানজিদা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল লাওসকে ভয় পাচ্ছে না বাংলাদেশ সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মিসরাত জাহান মৌসুমি, সানজিদা আক্তারদের বাধা মঙ্গোলিয়া হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অথচ মঙ্গোলিয়ানদের নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই। সবার মুখে বারবার ঘুরেফিরে বরং লাওসের নামই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কেন? টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই পারলে স্বাগতিক বাংলাদেশের হাতে শিরোপা তুলে দিচ্ছিল অনেকে। কারণ বিদেশি পাঁচ দলকে ধরেই নেওয়া হয়েছে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে ফুটেও উঠেছে সেটা। কিন্তু লাওস-ই একমাত্র দল হিসেবে প্রমাণ করেছে, যারা পরীক্ষা নিতে পারে বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে তারা ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মঙ্গোলিয়াকে। ম্যাচে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়ারও সামর্থ্য রাখে বলে মনে হচ্ছে। তাই সেমিফাইনাল ম্যাচের আগেই অঙ্ক কষা হচ্ছে ফাইনাল নিয়ে। কারণ, সেমিফাইনালের বাধা পার হয়ে বাংলাদেশ-লাওস ফাইনালে যাচ্ছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত-ই বলা যায়। তাই সেমিফাইনালের আগেই ফাইনাল নিয়ে চিন্তা। আর লাওসকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন কিরগিজস্তান ম্যাচের নায়ক সানজিদা আক্তার, ‘লাওস ভালো দল, আমাদের দল আরও ভালো। আমরা ফাইনালে খেলার আশা করছি। সেখানে লাওসকে পেলে ভালো লড়াই হবে। আমরা অস্ট্রেলিয়া-জাপান-কোরিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলেছি। তাই কোনো দলকেই ভয় পাই না।’ এর আগে ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও উত্তর কোরিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। উত্তর কোরিয়ার কাছে ৯-০ গোলে হেরে শুরু করলেও জাপানের বিপক্ষে ৩-০ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছিল সানজিদারা। গতকাল কিরগিজস্তানের বিপক্ষে গ্যালারির দর্শকেরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ২৯ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছেন সানজিদা। গোলের খাতা খুলেই থামেননি, রাইট উইং দিয়ে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের লেফটব্যাককে ঘোল খাইয়েছেন বারবার। দুর্দান্ত গতির সঙ্গে বলের নিয়ন্ত্রণটাও ছিল অসাধারণ। এ ছাড়া উইঙ্গার হিসেবে কখন ক্রস করতে হবে, আর কখন কাট ব্যাক, ফুটবলের এই মৌলিক জ্ঞানটাও তাঁর যথেষ্টই লক্ষ করা গেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলটা এসেছে তাঁর ক্রস থেকেই। ম্যাচসেরার ৫০০ ডলারও গিয়েছে সানজিদার হাতে। মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, ২০১৪ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক ফুটবলের বাছাইয়ে এশিয়ার সেরা ৭ নম্বর খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন ময়মনসিংহ জেলার কলসিন্দুরের এই মেয়ে। ২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের বাধা টপকে বাংলাদেশকে চূড়ান্ত পর্বের টিকিট অর্জনেও অন্যতম অবদান ছিল তাঁর। এরপর মাঝে চোটের কারণে হয়েছিলেন নিজের ছায়া। দুঃসময় কাটিয়ে অনেক দিন পর পাওয়া গেল সেই চেনা সানজিদার ঝলক। কে জানে হয়তো নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছেন নকআউট পর্বের জন্য।

উপরে