মেসি-রোনালদো রেকর্ড ভেঙেছেন, মানতে পারছেন না পেলে!
নির্দিষ্ট একটি ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪৩টি গোর করেছিলেন পেলে। সম্প্রতি বার্সেলোনার জার্সিতে ৬৪৪ গোল করে লিওনেল মেসি ছাড়িয়ে যান পেলেকে। এরপর দুই সপ্তাহ পরই অফিসিয়াল গোলের হিসেবে পেলেকে ছাড়িয়ে যান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্লাব এবং জাতীয় দল মিলিয়ে পেলের গোল ৭৫৭টি। গত সপ্তাহেই রোনালদোর গোল সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৭৫৮টিতে।
মেসির রেকর্ডের পর পেলের ক্লাব সান্তোস বিষয়টাকে অস্বীকার করে। তারা বিবৃতিতে দিয়ে জানিয়ে দেয়, পেলে থেকে এখনও ৪৪৭টি গোল দুরে রয়েছেন মেসি। সান্তোস দাবি করছে, পেলে যত গোল করেছেন সবগুলো সঠিকভাবে গণনা করা হয়নি। তার প্রকৃত গোলসংখ্যা ১০৯১টি।
সান্তোসের এই দাবি সঠিক হলে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোলের রেকর্ডও সঠিক নয়। আর সে কারণে নাকি মেসি-রোনালদোর রেকর্ড ভাঙাকে মোটেও মানতে পারছেন না ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে।
এ নিয়ে নতুন এক বিতর্ক শুরু হয়েছে, মেসি-রোনালদো রেকর্ড ভাঙার পর নামি পেলে ইনস্টাগ্রামে তার নিজের ‘বায়ো’ পরিবর্তন করেন। সেখানে নাকি তিনি তার নিজের নামের পাশে গোলের সংখ্যা পরিবর্তন করে দিয়েছেন।
যদিও পেলে এক টুইট বার্তায় এই বিতর্কের সরাসরি বিরোধীতা করেছেন। বলে দিয়েছেন, ইনস্টাগ্রামে ‘বায়ো’ পরিবর্তন করেননি। তিনি দাবি করেন, ‘প্রথমদিন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তার নিজের বায়ো একই রয়েছে।’
অভিযোগ উঠেছে, রোনালদো-মেসি তার রেকর্ড ভাঙার পরই নিজের ইনস্টাগ্রামে ‘বায়ো’ আপডেট করেন ফুটবল সম্রাট পেলে। মেসি-রোনালদোর রেকর্ডকে নাকি স্বীকৃতি দিতে চান না তিনি। সে কারণেই নিজের ইনস্টাগ্রাম ‘বায়ো’ পালটে লিখে দিয়েছেন, ক্যারিয়ারে মোট ১২৮৩টি গোল করেছেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে ফুটবলবিশ্বে এই নিয়েই আলোচনা তুঙ্গে। শেষমেষ নিজেই মুখ খুললেন পেলে এভং টুইট করে সব বিতর্কের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করলেন। নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পর্তুগিজ ভাষায় একটি পোস্ট করেন তিনি। যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘আমার বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যম অভিযোগ করছে যে, বড় তারকারা আমার রেকর্ড ভাঙার পর আমি নাকি নিজের ইন্সটাগ্রাম বায়ো বদলে ফেলেছি। তবে সবাইকে জানাতে চাই, শুরু থেকেই ওই লেখা আমার প্রোফাইলে ছিল।’এরপরই মেসি-রোনালদোর উদ্দেশে পেলে বার্তা দিয়েছেন, ‘তোমরা যা করেছ, সেই রেকর্ড থেকে কেউ নজর ঘোরাতে পারবে না।’
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন