প্রকাশিত : ২ জুলাই, ২০২২ ১১:১০

গাড়ির চাপে বাড়ানো হলো টোলপ্লাজার কাউন্টার

অনলাইন ডেস্ক
গাড়ির চাপে বাড়ানো হলো টোলপ্লাজার কাউন্টার

পদ্মা সেতু সংযোগের এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার বগাইল টোলপ্লাজায় শুরু হয়েছে টোল আদায়। তবে প্রথমে টোল আদায়ের কাউন্টার সংখ্যা কম থাকায় যানজটে পড়েন গাড়ির যাত্রী ও চালকেরা। এক পর্যায়ে টোল আদায়কারী কর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়ানো হয় টোল আদায়কারী কাউন্টার।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরুর প্রথম দিনই শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল থেকে মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গার বগাইল টোলপ্লাজায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। মোট ১০টি টোলপ্লাজার মধ্যে চালু রয়েছে ৭টি। এর মধ্যে ঢাকাগামী যানবাহন থেকে দুইটি বুথের মাধ্যমে টোল নেওয়া হচ্ছে। আর ঢাকা থেকে আসা গাড়ির টোল আদায় করা হচ্ছে ৫টি বুথে। ভোর থেকেই গাড়ির ব্যাপক চাপ রয়েছে। দুপুর পর্যন্তও প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দীর্ঘ জানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন পরবর্তী ভাঙ্গার বগাইল নামক টোলপ্লাজায় বাস, ট্রাক পরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি। বগাইল টোলপ্লাজায় টোল আদায়ের জন্য মোট আটটি বুথ রয়েছে। কিন্তু চালুর পর থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সাতটি বুথ চালু রয়েছে।

ভাঙ্গার বগাইল টোলপ্লাজার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, সেখানে টোল আদায়ের দশটি কাউন্টার রয়েছে। তবে প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা ফ্লাইওভারমুখী পয়েন্টে তিনটি কাউন্টার দিয়ে এবং বিপরীত দিকে পদ্মা সেতু অভিমুখী সড়কের একটি কাউন্টার দিয়ে টোল আদায় শুরু করে।

যাত্রী ও চালকেরা জানান, টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে সেখানে রাতেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা টোলপ্লাজার সামনে যানজটে আটকে থাকেন। সকাল নাগাদ যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং টোল আদায়কারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে যানবাহনের চাপের মুখে টোল আদায়ের কাউন্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়। গাড়ির চালক ও যাত্রীরা টোল আদায়ে চরম ধীরগতির অভিযোগ করেন। এভাবে চললে ঈদের আগে পরিস্থিতি আরো নাজুক হবে বলে তারা আশঙ্কা করেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদ উদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে আউটের জন্য তিনটি এবং সেতুতে ইনের জন্য একটি কাউন্টার চালু করা হয় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে। এতে সেখানে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সেখানে গাড়ি চালক ও যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এসময় তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হলে ১১টার দিকে কাউন্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন সাতটি কাউন্টার দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

উপরে