প্রকাশিত : ৫ জুলাই, ২০২৪ ১৪:৩১
Copa America 2024:

টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিতে আর্জেন্টিনা

মেসির পেনাল্টি মিস, ফের নায়ক এমি মার্টিনেজ!
অনলাইন ডেস্ক
টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিতে আর্জেন্টিনা
সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। খোলোয়াড়দের উল্লাস। ৪ জুলাই ২০২৪। ছবি : এপি

কোপা আমেরিকা ২০২৪-র সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করে নিল আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা হারাল ইকুয়েডরকে। খেলা ১-১ শেষ হওয়ার পরে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতল লিয়নেল মেসির দল। বিশ্বকাপ জেতার পর আরও একবার কোপা জয়ের পথে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। এদিনের ম্যাচে চোট সারিয়ে ফিরে ছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন আর্জেন্টিনার মহাতারকা। তবে মেসি মিস করলেও আর্জেন্টিনা দল ভুল করেনি, শুক্রবার ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

টাইব্রেকার পর্যন্ত দুরন্ত লড়াই করেও কোপা আমেরিকা থেকে ছিটকে গেল ইকুয়েডর। ডান পায়ের উরুর পেশিতে চিলি  চোট পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার তারকার চোট নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছিল। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ‌্যম জানিয়েছিল যে পেরু ম‌্যাচ তো বটেই, কোয়ার্টার ফাইনালেও মেসিকে নাও পাওয়া যেতে পারে। তবে পেরুর বিরুদ্ধে না নামলেও কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডর বিরুদ্ধে ম্যাচে নামলেন। শেষ আটের পুরো ম্যাচেই খেললেন তিনি। তবে মেসির পেনাল্টি মিস দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

তবে এদিনের ম্যাচের নায়ক ছিলেন সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। টাইব্রেকারে সাক্ষাৎ ত্রাতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছিলেন তিনি। ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের জন্যেও তিনি প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ সময়ে ইকুয়েডর গোল করে সমতায় ফিরলেও মার্টিনেজের বীরত্বে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৯০ নিনিট ১-১ সমতায় থাকে। ইনজুরির কারণে শঙ্কা থাকলেও আর্জেন্টিনার একাদশে ফেরেন মেসি। দলে জায়গা হারান ডি মারিয়া। তবে ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। বল দখলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করে ইকুয়েডরই। তাদের একজন ভালো ফিনিশার থাকলে অন্তত ২ গোলে পিছিয়ে থাকত আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। মলিনার দারুণ ক্রস থেকে খালি জায়গায় হেড করার সুযোগ পেয়েও বল বাইরে মারেন এনজো ফার্নান্দেজ। ৩৩ মিনিটে মেসির দারুণ ডিফেন্স চেরা পাস থেকে এনজো ফার্নান্দেজ ডি-বক্সের ভেতর বল টেনে নিয়ে গেলেও তার শট ব্লক করে দেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডাররা। কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। সেই কর্নার থেকেই অবশেষে গোল পায় আর্জেন্টিনা। মেসির কর্নার থেকে ম্যাক অ্যালিস্টার হেড করলে বল যায় ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজের কাছে। ভেসে আসা বলে মার্টিনেজ দারুণ হেডে বল জালে জড়ালে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তারা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ৫৪ মিনিটে এমি মার্টিনেজের কিক থেকে বল ডি বক্সের ভিতর বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন লাওতারো। ম্যাচে যখন আর্জেন্টিনা জয়ের সুবাস পাচ্ছিল তখনই ম্যাচের ৯২ মিনিটে ইকুয়েডরের কেভিন রড্রিগেজ গোল করে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান। কোপায় কোনও অতিরিক্ত সময়ের নিয়ম না থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে আবারও সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বীরত্বে ম্যাচ জিতল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম পেনাল্টি মিস করেন মেসি। কিন্তু এমি মার্টিনেজ টানা দুটি পেনাল্টি রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচে ফেরান। শেষ পেনাল্টিতে নিকোলাস ওটামেন্ডি আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইম বাংলা

উপরে