নিজের জাত চেনালেন ইসুরু উদানা | Daily Chandni Bazar নিজের জাত চেনালেন ইসুরু উদানা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০১৯ ১৭:৪৫
নিজের জাত চেনালেন ইসুরু উদানা
অনলাইন ডেস্ক

নিজের জাত চেনালেন ইসুরু উদানা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে বছর দশেক আগে। তবে নিজেকে মেলে ধরার পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি গত এক দশকে। দেরিতে হলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণ করার দ্বিতীয় সুযোগ পেলেন ইসুরু উদানা। আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়াই চালানোর সব রকম রসদ মজুত রয়েছে তার মধ্যে।

২০০৯ সালে নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি পেসার উদানা, যার ব্যাটের হাতটাও মন্দ নয়। গত বছর কলম্বোয় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছেন শেষ আন্তর্জাতিক টি-২০। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে মাত্র ১৮টি টি-২০ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি৷

২০১২ সালে হাম্বান্তোতায় ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমবার ওয়ানডে ক্যাপ হাতে পান ইসুরু। সেই সিরিজে আরও একটি ম্যাচ খেলছিলেন। ব্যাট করার সুযোগ না হলেও বল হাতে কোনও উইকেট তুলতে না পারার মাশুল দিয়ে ছিটকে যেতে হয় জাতীয় দল থেকে। অবশেষে সুযোগ আসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ানডে সিরিজে। ডারবানে ব্যাটিংয়ে নজর কাড়ার মতো পর্যাপ্ত অবকাশ ছিল না। তবে দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন বল হাতে নিয়ে। পোর্ট এলিজাবেথে দলকে না জিতিয়েও ম্যাচের নায়ক উদানা।

 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের চতুর্থ একদিনের ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার যখন অসহায় অবস্থা, তখন ব্যাট হাতে দলকে ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা করেন উদানা। ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৭৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন, যা ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো ৯ নম্বর ব্যাটসম্যানের করা চতুর্থ সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। তাও মাত্র ৫৭ বলে৷ মোট ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন ইসুরু।

মূলত উদানার ব্যাটে ভর করেই শ্রীলঙ্কা ৩৯.২ ওভারে ১৮৯ রান তুলতে সক্ষম হয়। একসময় ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসা সিংহলিরা ১৩১ রানে ৯ উইকেট খুইয়েছিল। সেখান থেকে শেষ উইকেটের জুটিতে ৫৮ রান যোগ করেন একার দায়িত্বে। কেননা অপর প্রান্তে থাকা শেষ দু’জন ব্যাটসম্যান মালিঙ্গা ও রজিথা খাতা খুলতেই পারেননি, যাদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান উদানা।

উদানার এমন অবিশ্বস্য ইনিংসের পরেও অবশ্য শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হেরে বসে। পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩২.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৯০ রান তুলে নেয়। কুইন্টন ডি’কক যতারীতি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৫১ রান করেন। ৷ ডু’প্লেসি করেন ৪৩ রান। যদিও ম্যাচের সেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কার নতুন আবিস্কৃত অলরাউন্ডার