দাবি না মানায় রোকেয়া হলের প্রশাসনিক কক্ষে তালা | Daily Chandni Bazar দাবি না মানায় রোকেয়া হলের প্রশাসনিক কক্ষে তালা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০১৯ ০২:৪৭
দাবি না মানায় রোকেয়া হলের প্রশাসনিক কক্ষে তালা
অনলাইন ডেস্ক

দাবি না মানায় রোকেয়া হলের প্রশাসনিক কক্ষে তালা

২৪ ঘণ্টার মধ্যে হল প্রভোস্ট পদত্যাগ না করায় রোকেয়া হলের প্রশাসনিক কক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য অনশন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার সময় বলা হয় এই সময়ের মধ্যে হল প্রভোস্ট পদত্যাগ না করলে তারা আবার আন্দোলনে যাবেন। শুক্রবার রাতে আন্দোলনকারীদের পক্ষে শ্রবণা শফিক দীপ্তি বলেন, ‘রাত ১১টায় আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কক্ষগুলোতে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ ও হল সংসদ নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে অনশন স্থগিত করেছিলেন ওই হলের পাঁচ ছাত্রী। এদের মধ্যে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন চার ছাত্রী। অনশনে অংশ নেওয়াদের একজন নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন না। অনশনের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে তাঁরা অনশন স্থগিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদা, ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেন ও হলের টিউটররা এসে তাঁদের অনশন ভাঙার আহ্বান জানান। পরে ছাত্রীরা ওই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। অনশনকারী ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দুজন অনশনকারী অসুস্থ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার জন্য অনশন স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার রাত নয়টা থেকে চারটি দাবি নিয়ে অনশনে বসেছিলেন রোকেয়া হলের পাঁচ ছাত্রী। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাফিয়া সুলতানা, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সায়েদা আফরিন, একই বিভাগের জয়ন্তী রেজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রবণা শফিক দীপ্তি ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রমি খিশা। রাফিয়া সুলতানা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে রোকেয়া হল সংসদে সহসভাপতি (ভিপি), সায়েদা আফরিন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন থেকে হল সংসদে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস), শ্রবণা শফিক দীপ্তি স্বতন্ত্র জোট থেকে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে আর প্রমি খিশা হল সংসদে সদস্যপদে ছাত্র ফেডারেশনের প্রার্থী ছিলেন। জয়ন্তী রেজা প্রার্থী ছিলেন না। তাঁদের দাবিগুলো হলো- প্রভোস্ট জিনাত হুদার পদত্যাগ, হল সংসদের পুনর্নির্বাচন, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।