নিউজিল্যান্ডের আগে বাংলাদেশ দলের সব শেষ বিদেশ সফরেও তিনি ছিলেন ম্যানেজার। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে এই দায়িত্ব পালন করে আসা খালেদ মাহমুদ সুজন ইদানীং বিপিএল ও ডিপিএল নিয়েই বেশি ব্যস্ত। তবে নিউজিল্যান্ড যাওয়া না হলেও ক্রাইস্টচার্চে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার ধাক্কা তাঁর গায়ে ভালোই লেগেছে। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এই পরিচালক এখন থেকে বিদেশ সফরে নিজ দেশের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে চান না
প্রশ্ন : বিদেশে নিজেদের দলের নিরাপত্তা নিয়ে আপনি কতটা উদ্বিগ্ন এখন?
খালেদ মাহমুদ : আমাদের এখানে যখন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ড আসে, তখন ওদের পুরো নিরাপত্তাদলই আসে। এখানকার হোটেল ও রাস্তাঘাটের নিরাপত্তাব্যবস্থা যাচাই করে দেখে। কোন রাস্তা দিয়ে বাস যাবে-আসবে এবং কিভাবে মাঠ থেকে হোটেলে ফিরবে, প্রতিটা জিনিসই খতিয়ে দেখে। আমার মনে হয় বাংলাদেশেরও এমন করা উচিত। কারণ ওরাও আন্তর্জাতিক দল, আমরাও তাই। কারণ এখন কোথাও এটি বলার সুযোগ নেই যে আপনি নিরাপদ। প্রতিটি সফরের আগেই তাই আমাদের নিরাপত্তাদলেরও যাওয়া উচিত। দেখা উচিত কোথায় কী আছে সব। এত দিন অন্যরা আমাদের এখানে আসত। যা দেখে আমার মনে হতো যে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আমাদের ছোট করা হচ্ছে।
প্রশ্ন : এখন কি আর তা মনে হচ্ছে না?
মাহমুদ : ওরা ওদের ক্রিকেটারদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, সেটি দেখতে আসাই স্বাভাবিক। এখন একই কাজ করতে হবে আমাদেরও। কারণ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেমন ওদের চোট কাটাতে ভালো জায়গায় চিকিৎসার জন্য পাঠাই, তেমনি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টিও শক্তভাবে দেখা উচিত আমাদের। সেটি ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়া, যেখানেই দল পাঠাই না কেন। ইংল্যান্ড এখন এমন একটি জায়গা, যেখানে প্রতি মুহূর্তেই বিস্ফোরণ হচ্ছে।
প্রশ্ন : আসন্ন বিশ্বকাপও তো সেই ইংল্যান্ডেই।
মাহমুদ : আইসিসি অবশ্য একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা দিয়েছে আমাদের। সেটি থেকেই আমরা জানি যে কী ধরনের নিরাপত্তা পাব। তবে নিউজিল্যান্ডে যেমন গেলাম, তেমন কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে যাওয়ার আগে আমাদের বোর্ডেরই উচিত হবে নিরাপত্তার বিষয়ে সব ধরনের নিশ্চয়তা আগেই নিয়ে নেওয়া।