নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে উগ্রবাদী শ্বেতাঙ্গ জঙ্গির হামলায় নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ আনতে তাদের একজন করে আত্মীয় বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে যাবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আজ রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, নিউ জিল্যান্ড সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যারা বাংলাদেশ থেকে যাবেন, তারা স্বজনের মরদেহ নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। ময়নাতদন্ত ও পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শেষে রবিবারই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন।
৪ বাংলাদেশি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিউজিল্যান্ড সরকার আমাদের দুজন বাংলাদেশি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাকি দুজন নিহতের তথ্য আমরা নিশ্চিত হয়েছি সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজনের মাধ্যমে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, নিউজিল্যান্ড সরকার বাংলাদেশকে জানিয়েছে, নিহত প্রত্যেকের পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কাছে তারা মরদেহ হস্তান্তর করবে এবং তারা মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ড. সামাদের পরিবার তাকে নিউজিল্যান্ডে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিহতের বড় ছেলে বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাবেন।
জরুরি প্রয়োজনে +৬৪২১০২৪৬৫৮১৯ নম্বরে ফোন করে অনারারি কনসালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া +৬১৪২৪৪৭২৫৪৪, +৬১৪৫০১৭৩০৩৫ নম্বরে ফোন করেও তথ্য পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সেমি অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে বর্ণবাদী এক অস্ট্রেলীয় যুবক।
হামলার ঘটনার সময় একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন নিউ জিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন সদস্য। অল্পের জন্য তারা প্রাণে বেঁচে যান।