'বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে আইন করা হবে' | Daily Chandni Bazar 'বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে আইন করা হবে' | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৭ মার্চ, ২০১৯ ১৯:৩৯
প্রেজেন্টেশন ক্লাবের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
'বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে আইন করা হবে'
অনলাইন ডেস্ক

'বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারে আইন করা হবে'

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি বিভিন্ন চ্যানেল বাংলাদেশে চলছে, যেখানে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হচ্ছে। অথচ বিভিন্ন দেশে দেশি চ্যানেল চললেও দেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায় না। এটা একটি বিশৃঙ্খলতা, এমনটা চলতে দেওয়া যায় না। সামনের মাস (এপ্রিল) বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন চলার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ করা হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বায়ন করলে শুধু হবে না, তাদের আইনগুলোও আমাদের দেখা উচিত।

গতকাল শনিবার বিকেলে ৬টায় লক্ষ্য নিউজ প্রেজেন্টেশন একাডেমি ও এর অঙ্গসংগঠন প্রেজেন্টেশন ক্লাবের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে রাজধানীর মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
অনুষ্ঠানে স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে ১৪ গুণীজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ছিল আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশীয় বেসরকারি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনপ্রাপ্তির প্রতিযোগিতার কারণে বিজ্ঞাপনমূল্য কমে যাচ্ছে। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে সেই পরিমাণ আরো কমে গেছে। ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমগুলোর বিজ্ঞাপনে অর্জিত টাকা থেকে অর্থ পায় না সরকার। এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। গত ১০ বছরে গণমাধ্যমের অনেক পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৩০টি চ্যানেল চলমান আছে। ৪৪টি চ্যানেল অনুমতি দেওয়া আছে। আরো কিছু চ্যানেল অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায়। বর্তমান সরকার গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয় উপস্থাপক আব্দুন নূর তুষার, বাংলাভিশন সংবাদপ্রধান মোস্তফা ফিরোজ, জিটিভি এর প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, এপি বাংলাদেশ ব্যুরোপ্রধান জুলহাস আলম, জনপ্রিয় উপস্থাপক শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম, সামিয়া রহমান। এ ছাড়াও দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অধিকাংশ রেডিও ও টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ও সংবাদ উপস্থাপকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর প্রথম গ্যাটাগরিতে ১১ জন সংবাদ উপস্থাপক ও সম্প্রচার সাংবাদিক, যারা কমপক্ষে ১২ বছর সংবাদ সম্প্রচার মাধ্যমের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রথম ক্যাটাগরির সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন এনটিভির সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার মুমতাহীনা হাসনাত রিতু, বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার সেলিনা তৌহিদ, বাংলাদেশ বেতার ও দেশ টিভির নিউজ প্রেজেন্টার জাবেদ কারদার, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সাবিনা স্যাবি, এনটিভির সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার তাহসীনা ইয়াসমিন, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার ফারজানা করিম, মাছরাঙা টেলিভিশনের স্পোর্টস এডিটর অ্যান্ড প্রেজেন্টার রাকিবুল হাসান, একাত্তর টিভির সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার মাহবুব হাসান, একাত্তর টিভির সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার শামীম আরা মুন্নী, বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার সঙ্গীতা খান, যমুনা টিভির ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট মহসিনুল হাকিম।

দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন ইনডিপেনডেন্ট টিভির এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার পিয়া রহমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট মোর্শেদ হাসিব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম।

এ সময় লক্ষ্য ও প্রেজেন্টেশন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা রাইসুল হক চৌধুরী বলেন, নাচ গান ও আবৃত্তির জন্য অনেক চর্চাকেন্দ্র থাকলেও সংবাদ উপস্থাপনার কোনো চর্চাকেন্দ্র নেই। সেই অভাব থেকেই প্রেজেন্টেশন ক্লাব ও লক্ষ্য নিউজ প্রেজেন্টেশন একাডেমির শুরু।