নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে শুক্রবার সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান ৫০ জন। ভাগ্যগুণে হামলা থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। শুক্রবার সকালে অনুশীলনের মাঝপথে ক্রিকেটাররা জুমার নামাজ পড়তে আল নূর মসজিদমুখী হন টিম বাসে। মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছেও মাত্র ৫ মিনিটের জন্য বেঁচে যান মৃত্যুর হাত থেকে।
নারকীয় ও বীভৎস ঘটনার পর বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আলোচনা করে বাতিল করে টেস্ট। এরপর ক্রিকেটাররা দেশে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন।
ক্রিকেটারদের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত মানুষেরাও। সে অপেক্ষা শেষ হয় শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে, বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রায় ১ ঘণ্টা পর ক্রিকেটাররা বেরিয়ে আসতে শুরু করেন। মুশফিকুর রহিমের বাবা মাহবুব হামিদ বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রতিটি মুহূর্ত অস্বস্তিতে কাটিয়েছি। আমরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। মুশফিক তো ফোন করেই কান্নাকাটি করেছে। ও-তো এমনিতেই নরম মনের মানুষ। তাই এমন পরিস্থিতে পড়ে ভেঙে পড়েছে। আজকে (শনিবার) দেখে একটু স্বাভাবিক মনে হয়েছে। আমাদের ছেলেদের কারও মনের অবস্থাই ভালো নয়। সবাইকে কাছে পেয়ে বুকে টেনে নিয়েছি। এ মুহূর্তে আমার চেয়ে সুখী কেউ নেই।
শনিবার রাতে ঢাকায় পৌঁছে টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বলেন, বিসিবি আমাদের তাড়াতাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করায় তাদের ধন্যবাদ। আমরা খুবই ভাগ্যবান। আপনাদের দোয়ায় আমরা এখানে বসে আছি এবং বাবা-মা, পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরতে পেরেছি। আমরা যা দেখেছি সেটা অবর্ণনীয়। সবাই দোয়া করবেন মানসিকভাবে আমরা যে ধাক্কা খেয়েছি সেখান থেকে যেন দ্রুতই বের হয়ে আসতে পারি