অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া উচিত ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। অর্থনৈতিক স্বাধীনতার তত্ত্বে তিনি এই সম্মান পাওয়ার দাবি রাখেন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত একথা বলেছেন।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. আবুল বারকাত বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি তো শুধু বলতে পারতেন ‘মুক্তি’ কিংবা ‘স্বাধীনতা’ কিন্তু তিনি দুটোই বলেছিলেন। কারণ দুটো আলাদা জিনিস। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তিসহ সব ধরনের মুক্তি নিয়ে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা বলে কেউ যদি নোবেল পুরস্কার পেতেন, সেটা পাওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধুর। কারণ অমর্ত্য সেন যে তত্ত্বের ভিত্তিতে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন এসব তত্ত্ব শেখ মুজিবুর রহমান অনেক আগেই দিয়েছিলেন। তারপরও অমর্ত্য সেন নোবেল পেয়েছেন। এতেও আমরা খুশি। কারণ তিনিও বাংলাদেশেরই মানুষ ছিলেন।
‘এ বাংলায় তুমি জন্মেছিলে বলেই আজ আমরা স্বাধীন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এবারের সরকারের অন্যতম এজেন্ডা হচ্ছে দুর্নীতি নির্মূল করা। কারণ দুর্নীতি নির্মূল না হলে একটি দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন স্থিতিশীল হয় না। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালেই বুঝেছিলেন।
তিনি (বঙ্গবন্ধু) তখন বলেছিলেন,পাকিস্তান সব নিয়ে গেছে। কিন্তু আমার দুর্নীতিবাজদের নিয়ে যায়নি- এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন,আমরা এখন শতভাগ সাক্ষরতার কথা বলছি। ভাবখানা এমন যে শতভাগ সাক্ষরতা হলেই আমাদের সব হয়ে যাবে। অথচ ১৯৭৪ সালেই বঙ্গবন্ধু ১০০ ভাগ জনগণকে শিক্ষিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা এখন আছি শতভাগ সাক্ষরতার হার নিয়ে।
তিনি বলেন,এসবের পরও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক এগিয়েছে। যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলেছিলেন তারা আজ ভুল স্বীকার করছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নকে তারা বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এম মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. শরীফ মো. এনামুল কবীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান প্রমুখ।