সরকার পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনকে ভয় পায়। আর এজন্য আন্দোলনের পরও সড়কে দুর্ঘটনার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে না। এমনটি ই মনে করেন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন চালানো ইলিয়াস কাঞ্চন।
রাজধানীর নর্দ্দার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসের চাপায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আবারো শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দায়ী বলে মনে করেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, সরকার কঠোরভাবে সড়ক পরিবহন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনের বিরোধিতার কারণে তারা সফল হচ্ছে না।
গত বছরের শেষের দিকে সংঘটিত ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গে টেনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নির্বাচনের আগে নভেম্বর মাসের শেষদিকে সরকারি দলে থাকা অবস্থাতেও মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংসদে নতুন পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকে। ঐ হরতালের সময় রাস্তায় নামা গণপরিবহনের চালকদের হয়রানিও করে তারা।
ঐ হরতালের মাসখানেকের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় শ্রমিক সংগঠনের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে সরকার শ্রমিকদের ধর্মঘট থামায় বলে মন্তব্য করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
তার মতে, সরকার যদি এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা না করে তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবে না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা