ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র পদত্যাগের দাবি জোরালো হওয়ার প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত তিনি তাতে সায় দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমর্থনের বিনিময়ে তিনি পদত্যাগে রাজি।
সর্বশেষ বৈঠকে বুধবার নিজ দলের সংসদ সদস্যদের থেরেসা মে বলেছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি পাস হলে পরবর্তী ধাপ- ইইউ’র সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণের সমঝোতায় তিনি থাকবেন না।
বুধবার নিজ দলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে থেরেসা মে এ ঘোষণা দেন। তবে পদত্যাগের কোনো দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি তিনি।
মূলত ব্রেক্সিট পাস হলে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। চুক্তিটি পাস হলে থেরেসা মে পদ ছেড়ে যাবেন।
এর আগে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ব্রেক্সিটের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ায় উদ্বেগে পড়েন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের কট্টর ব্রেক্সিটপন্থীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছেদের সুযোগ হাত ছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তাদের। সে কারণে মন্দের ভালো হিসেবে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমর্থন করছেন তাদের অনেকেই।