গঙ্গাচড়ায় প্রতিপক্ষকে ঘাঁয়েল করতে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar গঙ্গাচড়ায় প্রতিপক্ষকে ঘাঁয়েল করতে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০১৯ ২৩:১৭
খারুভাজ বিল দখলে নিতে বকুল বাহিনীর তান্ডব
গঙ্গাচড়ায় প্রতিপক্ষকে ঘাঁয়েল করতে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

গঙ্গাচড়ায়  প্রতিপক্ষকে ঘাঁয়েল করতে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ

রংপুরের গঙ্গাচড়ায়  খারুভাজ বিল ইজারাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ভয়ভীতি, মিথ্যা মামলা ও জোর পূর্বক অভিযোগ পত্রে স্বাকর গ্রহন করেছে বকুল মিয়া ওরফে টেরা বকুল ও বাহিনীরা। এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে তালুক হাবু মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি দুলু মিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সভাপতি জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, হাবু মৎসজীবি সমবায় সমিতির সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালী বকুল মিয়া কতিপয় দুদ্ধান্ত দুস্কৃতি লোকজন নিয়ে তালুক হাবু মৎজীবি সমবায় সমিতির সদস্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে ১৯ মার্চ সমিতির সভাপতি দুলু মিয়াসহ সদস্যদের জোর পুর্বক স্বাক্ষর গ্রহন করে। স্বাক্ষরকৃত কাগজে দুলু মিয়ার সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তৈরী করে ওইদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দাখিল করে বকুল মিয়া। অভিযোগ দাখিলের পরে বকুল মিয়া ও তার লোকজন তালুক হাবু মৎজীবি সমবায় সমিতির সদস্য ও শুভাকাংখীদের সন্ত্রাসী কায়দায় ভীষন মারপিট করে পাল্টা তাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তালুক হাবু মৎজীবির উপদেষ্টা মৎসচাষী হাসান আলী জানান, বকুল মৎসচাষী কিংবা মৎসজীবি কোনটাই না হয়ে দাপটের সাথে সন্ত্রাসী কৌশলে দীর্ঘদিন থেকে বহিরাগত মহিপুর মৎসজীবি সমিতির নামে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বে-আইনিভাবে খারুভাজ বিল ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করে আসছে। গত ১৩ মার্চ বকুল মিয়া খারুভাজ বিল দখলে নিতে ৩টি সমিতির নামে ইজারা দাখিল করে। উক্ত বিলের জন্য তালুক হাবু মৎজীবি সমবায় সমিতির পক্ষে ইজারা দাখিল করতে গেলে সমিতির সভাপতিসহ সদস্য ও শুভাকাংখীদের বকুল মিয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী ইজারা প্রদানে বাঁধার সৃষ্টি করে তাদের আটক করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে ইজারা ইউএনও অফিসে ইজারা দাখিল করতে না পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। এতে বকুল ও তার বাহিনী ক্ষীপ্ত হয়ে তালুক হাবু মৎজীবি সমবায় সমিতির সভাপতিসহ সদসর ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে তালুক হাবু মৎসজীবি সমিতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আবার মিথ্যা মামলা করে বকুল মিয়া। এ মিথ্যা মামলায় ১জন আটক হয়ে হাজতে রয়েছে। বকুল ও তার বাহিনীর ভয়ে তালুক হাবু মৎসজীবির সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ দতন্তে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বকুল মিয়া তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।