ভোটের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারার সত্যতা পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কারণে কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম এবং কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দিনকে দুই মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে ইসি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবর চিঠিও পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
উপজেলা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
ইসির যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কটিয়াদী নির্বাচনে শফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। ওই উপজেলা নির্বাচনে গত ২৩ মার্চ রাত ১২.৩০টা থেকে রাত ৪.৩০টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে জোরপূর্বক সিল মারা হয় বলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ইসিকে অবহিত করেন। নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় ইসি নির্বাচন বন্ধ করে। এতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
বেআইনি কার্যক্রমের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অবহিত থাকা সত্ত্বেও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে ইসির আদেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হয়েছেন এবং কোনো প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বিষয়টি অসদাচরণ চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হয়েছে। সেজন্য শফিকুল ইসলামকে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ৫ ধারার ৩ উপধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে চাকরিবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণ করার বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ ছাড়া ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করে ইসি সচিবালয়কে জানাতে বলা হয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সকে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত চিঠি মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছে। একইভাবে ইসির উপসচিব সাবেদ উর রহমান স্বাক্ষরিত অপর এক চিঠিতে কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দিনকেও বরখাস্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে গত ২৪ মার্চ কটিয়াদী উপজেলার নির্বাচন অনিয়মের কারণে স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।