রাজধানীর কোন এলাকায় কোন বিল্ডিং পরিকল্পনার বাইরে করা হয়েছে, নকশা, অনুমোদন ও বিল্ডিং কোড মানা হয়নি- এমন হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাজউকের ২৪টি টিম মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আজ রবিবার দুপুরে রাজউক অডিটোরিয়ামে এক বৈঠকে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘যেসব ভবন পরিকল্পনা নকশা অনুযায়ী করা হয়নি সেসব ভবনের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নিয়মের বাইরে যেসব ভবন থাকবে সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গৃহায়নমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ থেকে ২০০৮-এর পূর্ববর্তী সময়ে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বা গ্যারেজ রাখার কোনো বিধান ছিল না। সেসব ভবনের জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রতিটি বিল্ডিং যারা ব্যবহার করবেন তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে বা সেখানকার মানুষ হিসেবে আগে দেখে নিতে হবে যে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কি না। অতিরিক্ত সিঁড়ি লাগানো আছে কিনা বা সব কিছু মেনে বিল্ডিং করা হয়েছে কিনা। যদি এসব নিয়ম মেনে না করা হয় তাহলে আপনি সেই ভবনটি ব্যবহার করবেন না।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হওয়ার পর আমরা এটা জনসম্মুখে জাতীয় পত্রিকায়, টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করব। কারণ দেশের মানুষের জানা দরকার অর্থলোভী মানুষরূপী যারা এভাবে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করে জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করেনি তাদের চেহারা দেশবাসীর দেখা উচিত।
গৃহায়নমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘রাজউকের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় সব রেকর্ড থাকতে হবে। যেসব রেকর্ড পাওয়া যাচ্ছে না, মিসিং আছে সেই সব ভবনের বিষয়ে আমরা আবার পরিদর্শন করে রেকর্ডটা নথিভুক্ত করব।’
তিনি জানান, ১ মে থেকে রাজউকের সব সেবা ডিজিটালাইজেশন হবে। এর মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তি দূর হবে এবং রাজউক জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিল্ডিংয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আগে আমরা শুধুমাত্র বিল্ডিং মালিক এবং ডেভেলপার কম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।’
এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।