পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধ, হকার ব্যবস্থাপনার জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও দুপুর ১২টা থেকে ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশে হকারদের বসতে দেওয়ার দাবিতে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে হকাররা।
আজ বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধ হকাররা বায়তুল মোকাররম লিংক রোড থেকে মিছিল নিয়ে নগর ভবনের কাছে পৌঁছলে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে তারা সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে হকার নেতৃবৃন্দ সিটি মেয়রের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন আয়োজিত ওই কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাশেম কবির। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, কার্যকরী সভাপতি মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সহ-সভাপতি মঞ্জুর মঈন, আবুল কালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, হকার ঐক্য পরিষদের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটো, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক গোলাপ হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ প্রশাসন গত ২২ জানুয়ারি পুলিশ সপ্তাহ পালনকালে হকারদেরকে ফুটপাত ছেড়ে দিতে বলে। এসময় প্রশাসন তাদেরকে আশ্বস্ত করে, পুলিশ সপ্তাহ শেষ হলে তারা আবারও ফুটপাতে ব্যবসা করতে পারবে। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও হকারদের ফুটপাতে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘ সময় কোনো রোজগার না থাকায় হকাররা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রায়শই হকারদের সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বলা হয়, যানজটের প্রধান কারণ হকাররা। কিন্তু ঢাকা শহরে যানজটের কারণ এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি গবেষণা করা হয়। গবেষণার ফলাফলে যানজটের জন্য প্রধানত তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাইভেট কার দিয়ে রাস্তা দখল, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও যততত্র গাড়ি পার্কিং-এর কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
সমাবেশ শেষে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাশেম কবিরের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. সাঈদ খোকনকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় মেয়র মহোদয় হকার্স ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে খুবই আন্তরিকতার সাথে ওই সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।