তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সুযোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই : পলক | Daily Chandni Bazar তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সুযোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই : পলক | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:৪১
তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সুযোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই : পলক
অনলাইন ডেস্ক

তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সুযোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই : পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সুযোগ্য নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। এর মাধ্যমেই আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে কেবল জানার সুযোগ করে দিতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে, আত্মকর্মসংস্থানই সঠিক পথ।

আজ বুধবার সকালে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে সফল উদ্যোক্তা ও প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে আয়োজিত শিক্ষিত তরুণ-তরুণী ও যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ মতবিনিময়ে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া এবং হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক গোলাম মোস্তফা। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, মেধা থাকলে বিশ্ব জয় করা যায়। একটি ল্যাপটপ দিয়ে বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনা সম্ভব।

তিনি বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি অভিভাবকদেরও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সফলদের কাহিনী তরুণদের শোনাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজিব ওয়াজেদ জয়ের ভাবনায় বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, হাইটেক পার্ক, আইসিটি ইনকিউবেটর, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে সরকার আইসিটি বিষয়ক জ্ঞান আহরণ ও প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দেশে আজ প্রায় ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করে চলেছে।

কোন প্রকার সরকারি সহায়তা ছাড়া তরুণদের জন্য আইসিটিভিত্তিক ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ৫০টি ল্যাপটপ ও পাঁচ লাখ টাকা সহায়তার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

এসময় তিনি আরও বলেন, খুলনা মডেল তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় বিষয় হতে পারে। আগামীতে হাইটেক পার্ক বাস্তবায়িত হলে খুলনা কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের অন্যতম নগরীতে পরিণত হবে। তবে সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা ও সরকারি অর্থের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

দুপুরে প্রতিমন্ত্রী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত খুলনা বিভাগের সকল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), খুলনা জেলায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব এর মনিটরিং কর্মকর্তা, আইসিটি ও কম্পিউটার শিক্ষক, ইউডিসি উদ্যোক্তা এবং আইসিটি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত ইনফো সরকার প্রকল্প ফেইজ-৩ এরং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী খুলনায় প্রস্তাবিত হাই-টেক পার্ক স্থাপনের জমি এবং শেখ রাসেল ইকোপার্ক পরিদর্শন করেন।