‘বিয়ের ১১৭ দিনের মধ্যেই বিচ্ছেদ!’ সম্প্রতি এমনই এক কভারে একটি ম্যাগাজিন বের করে ‘ওকে’। ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সব কিছু নিয়েই নাকি ঝগড়া চলছে দম্পতির। কাজ, পার্টি ও সময় কাটানো নিয়ে চলছে লড়াই। তাড়াহুড়োর কারণেই দুজনেই বিবাহ সঙ্কটে। আর এই খবরেই নাকি বেজায় চটেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস।
জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিকের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের (পিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের ভুয়া খবরে ভীষণই বিরক্ত তারকা দম্পতি। খুব শিগগিরই ‘ওকে’ ম্যাগাজিনের কাছে আইনি চিঠি পাঠাবেন তারা। এ ধরনের খবরে প্রিয়াঙ্কা-নিকের ইমেজ নষ্ট হয়েছে, তাই মানহানির জন্য মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণও চাওয়া হতে পারে।
গত ২৭ মার্চ ‘ওকে’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিয়ের আগে বান্ধবী হিসেবে প্রিয়াঙ্কাকে বেশ সরল ও আধুনিক মনে হয়েছিল নিকের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তার উপরে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেছেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকি মাঝমধ্যে রেগেও যান বলিউড তারকা।
ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, নিক জোনাসের পরিবারও নাকি প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে খুশি নয়। নিকের পরিবার ভেবেছিল, প্রিয়াঙ্কা বুদ্ধিমতি ও পরিণত নারী। বয়সে বড় হওয়ার কারণে সন্তান নিয়ে ঘরসংসার সামলাবেন তিনি। তবে এখনও ২১ বছরের তরুণীর মতো পার্টি করেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকি নিক জোনাসের পরিবার নাকি মনে করে, তিনবার বিয়ের অনুষ্ঠান করে অযথা দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার নষ্ট হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিককে শুধুই টাকার জন্য বিয়ে করেছেন প্রিয়াঙ্কা। আর এ ধরনের মন্তব্যের কারণে প্রিয়াঙ্কার চরিত্রের ওপর দাগ লাগছে, তার ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করছে অভিনেত্রীর পিআর। আর সেকারণে ‘ওকে’ ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক।
এদিকে সম্প্রতি মিয়ামির সৈকতে নিক ও তার পুরো পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে দেখা গেছে প্রিয়াঙ্কাকে। এমনকি জোনাস ব্রাদার্সের কনসার্টেও দেখা গেছে তাকে। সব জায়গাতেই বেশ খোশ মেজাজেই ধরা দিয়েছেন এই তারকা জুটি।