প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারো সঙ্গে যুদ্ধ করবো না, যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা সবার সঙ্গে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান।
রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু মিয়ানমার আমাদের একেবারেই প্রতিবেশী, তাদের সঙ্গে কখনো সংঘাতে যাব না। বরং আলোচনার মাধ্যমে তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) যেন তারা ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই প্রচেষ্টাই আমাদের অব্যাহত থাকতে হবে এবং সেভাবে সকলে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, মানবিক কারণেই আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা ঝগড়া বাঁধাতে যাইনি। আমরা আলোচনা করেছি, চুক্তি সম্পন্ন করেছি। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এদের (রোহিঙ্গা) তাদের দেশে ফেরত পাঠানোই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এখনও কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা যে নীতিমালাটা দিয়ে গিয়েছিলেন সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। সেই নীতিমালা মেনেই কিন্তু আমরা চলছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারো সঙ্গে কোনো সমস্যা থাকলে সেটাও সমাধান করছি আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু আমরা শান্তি চাই, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। কিন্তু কেউ যদি আমাদের আক্রমণ করে তাহলে তার যেন যথাযথ জবাব আমরা দিতে পারি, আর আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যেন রক্ষা করতে পারি সেই প্রস্তুতিটা সব সময় আমাদের থাকতে হবে। যুদ্ধের জন্য নয় শান্তির জন্য আমাদের প্রস্তুতি দরকার।’
শান্তিপূর্ণভাবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধান এবং ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সমস্যা সমাধানের কথা এ সময় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।