ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রায় দেড় মাস আগে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট থেকে নিয়মিত ও দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ অধিনায়ক আসগর আফগানকে সরিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। অর্থাৎ আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের কোনো ফরম্যাটেরই অধিনায়ক থাকছেন না আসগর। তার জায়গায় তিন ফরম্যাটের নতুন তিন অধিনায়কের নামও প্রকাশ করেছে এসিবি। এতে ক্ষেপেছেন আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি ও দলের সেরা স্পিনার রশিদ খান। টুইটারে নিজ দেশের বোর্ডের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
বর্তমানে ভারতের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দ্রারাবাদের হয়েই খেলছেন নবি ও রশিদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নবি লিখেন, 'দলের একজন সিনিয়র সদস্য হিসেবে এবং আফগানিস্তান ক্রিকেটের উত্থান দেখেছি বলেই আমি মনে করি না, বিশ্বকাপের ঠিক আগে অধিনায়ক বদল করা ঠিক হয়েছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত। আসগরের অধীনে দল খুবই ভালো পারফরমেন্স করছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সে আমাদের দলকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি।'
টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া রশিদ লিখেছেন, 'নির্বাচক কমিটির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমি এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছি। আমাদের সামনে বিশ্বকাপ। আসগরের অবশ্যই অধিনায়ক থাকা দরকার ছিল। তার নেতৃত্বে দল অনেক সাফল্য পেয়েছে। বিশ্বকাপের মতো এত বড় আসরের আগে এভাবে নেতৃত্ব বদল অনিশ্চয়তা তৈরি করবে এবং দলের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করবে।'
আসগরকে সরিয়ে রহমত শাহকে টেস্টে, রশিদ খানকে টি-টোয়েন্টিতে এবং গুলবাদিন নাইবকে ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক করেছে এসিবি। এছাড়া তিন ফরম্যাটের সহ-অধিনায়কদের নামও ঘোষনা করেছে এসিবি। টেস্টে হাসমতউল্লাত শাহিদি, ওয়ানডেতে রশিদ ও টি-টোয়েন্টিতে শফিকুল্লাহ শফিক সহ-অধিনায়ক হয়েছেন।
২০১৫ সালের এপ্রিলে আফগানিস্তান দলের অধিনায়ক হন আসগর। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবির পরিবর্তে দায়িত্ব পান তিনি। অধিনায়কত্ব থেকে সড়ে যাবার আগ পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ৫৬ ওয়ানডেতে ৩১টি জয় ও ৪৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৭টি জয় এনে দেন আসগর। এছাড়াও আফগানিস্তানের অভিষেক টেস্টসহ দুটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে প্রথমটি হারলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরের টেস্টটি জিতে নেয় আফগানরা।