বোলারদের নৈপুণ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের দশম রাউন্ডে আজ রবিবার আবাহনী লিমিটেডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এই জয়ে আবাহনীর জয়রথ থামিয়ে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। রূপগঞ্জে সংগ্রহ ১০ ম্যাচে ৯ জয় ও ১ হারে ১৮ পয়েন্ট। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ জয় ২ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেল আবাহনী।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় রূপগঞ্জ। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় আবাহনী। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার জহিরুল ইসলাম রানের খাতা খোলার আগেই শুভাশিষ রয়ের শিকারে পরিণত হন। আগের ৯ ম্যাচে ২টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫২২ রান করেছেন তিনি। এবারের লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী এখন পর্যন্ত তিনিই।
জহিরুলের পর আবাহনীর পরের দিকের ব্যাটসম্যানরাও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলে ২৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আবাহনী। যার মধ্যে আরও ২ উইকেট রয়েছে শুভাশিষের। এরপর দলের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন মোহাম্মদ মিথুন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ৪৩ রানের জুটি গড়েন তারা। এই জুটিকে বড় হতে দেননি আগের ম্যাচে শেখ জামালের বিপক্ষে ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় হওয়া বাঁ-হাতি স্পিনার নাবিল সামাদ। ৩৮ রান করে ফিরেন মিথুন।
এরপর লোয়ার-অর্ডারে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে দলের স্কোর একশ পার করেন মোসাদ্দেক। শেষ পর্যন্ত ৩৯.১ ওভারে ১২২ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী। মোসাদ্দেক ৮৮ বলে ৬টি চারে অপরাজিত ৪০ রান করেন। ১০ বলে ২ ছক্কায় ১৫ রান করেন মাশরাফি। রূপগঞ্জের শুভাশিষ ৩টি, মোহাম্মদ শহীদ-নাবিল ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১২৩ রানের সহজ লক্ষ্যে শুরুতে থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন রূপগঞ্জের দুই ওপেনার মেহেদি মারুফ ও মোহাম্মদ নাইম। ৬৪ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন দুজন। ২২ রান করে নাইম ফিরলেও তিন নম্বরে নামা মুমিনুল হককে নিয়ে দলের জয়ের পথ সহজ করেন মারুফ। তবে দলীয় ১০৭ ও ১০৯ রানে দুজনেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মুমিনুল ১৭ এবং ৮৫ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করেন মারুফ।
এই দুজন ফিরে গেলেও অবশ্য জয় পেতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি রূপগঞ্জের। অধিনায়ক নাইম ইসলাম ৩ ও শাহরিয়ার নাফীস ১২ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রূপগঞ্জের শুভাশিষ।