এসডিজি অর্জনের স্বার্থে নারী ব্যবসায়িদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইনোভেশন ও ফেয়ার ট্রেড পলিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিশেষ করে নারী ব্যবসায়ীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এবিষয়ে আইন প্রণেতাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
কাতারের দোহায় শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)’র ১৪০তম সম্মেলন চলাকালে এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন। আজ সোমবার সংসদ সচিবালয়ের থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জাননো হয়েছে। ‘এসডিজি অর্জনে অবাধ ও সুষ্ঠু ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ভূমিকা’ শীর্ষক ওই সেমিনারে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনিসহ বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যরা অংশ নেন।
সেমিনারে স্পিকার বলেন, রিসোর্স মবিলাইজেশন এসডিজি অর্জনের প্রধান হাতিয়ার। পার্লামেন্টকে অবশ্যই রিসোর্স মবিলাইজেশন ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রান্তিক উৎপাদক ও উদ্যোক্তাগণ সর্বাধিকভাবে উপকৃত হবেন। এজন্য ডিমান্ড সাপ্লাই চেইন, রিপ্রোডাকশন ও ফেয়ার ট্রেড প্রিন্সিপালকে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানান তিনি।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ইনোভেটিভ ফিন্যান্সিং-এর ক্ষেত্রে সঠিক বাণিজ্যনীতি ও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার করে বৈষম্য কমানো এবং দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। যা এসডিজি অর্জনকে সহজ করে তোলে। সেমিনারে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন তিনি।
কাজাখস্তানের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কাজাখস্তান মজলিস অব পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান নূরলান নিগমাথুলিন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন এবং দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় স্পিকার বাংলাদেশের সাথে কাতারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাজাখস্তান সফর ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। সংসদ সদস্যদের মধ্য পারস্পরিক সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময় ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে। স্পিকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কাজাখস্থানের ভূমিকা ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরির মাধ্যমে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করতে কাজাখস্তানের প্রতি আহবান জানান।
এসময় ড. শিরীন শারমিন টানা তৃতীয়বারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় কাজাখস্তান পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান তাঁকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বাণিজ্য প্রসারে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আশ্বাস দেন। আগামী সেপ্টেম্বরে কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপ-এশিয়া (ইউরোশিয়া) ইন্টার পার্লামেন্টারী সম্মেলনে স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানান।