ফরাসি লিগ ওয়ানে আবার হোঁচট খেয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। রবিবার রাতে স্ট্রাসবুর্গের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে নেইমারবিহীন পিএসজি।
এর আগে ডিসেম্বরে লিগের প্রথম লেগেও স্ট্রাসবুর্গের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল টমাস টুখেলের দল। এটি আসরের তৃতীয় ড্র পিএসজির। ফলে শিরোপা নিশ্চিত হতে আরও অপেক্ষা করতে হবে ফরাসি জায়ান্টদের।
৭০ দিন পর অনুশীলনে ফিরলেও খেলার মতো অবস্থায় নেই নেইমার। এই ম্যাচেও মাঠে নামা হয়নি ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের। তবে ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৩ মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং দলের হয়ে গোলটি করেন। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি পিএসজি। ম্যাচের ২৬ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের কাছ থেকে দলকে সমতায় ফেরান কেপ ভার্দের ফরোয়ার্ড নুনো দ্য কস্তা।
এরপর সমতায় থাকা দু'দলের খেলা জমে ওঠে। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে আবারও গোল হজম করতে হয় পিএসজিকে। প্রথমার্ধে গোল করতে না পারায় পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিএসজি। ফিরে এসে আক্রমণের ধার বাড়ায় তারা। গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা দানি আলভেজ। তবে ৭০ মিনিটে তার করা দূরপাল্লার শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৮২ মিনিটে সমতায় ফেরে পিএসজি। জুলিয়ান ড্রাক্সলারের কর্নারে হেডে জাল খুঁজে নেন জার্মান ডিফেন্ডার থিলো কেরার।
গোল অনেকভাবেই মিস হতে পারে। কিন্তু শেষ দিকে পিএসজি ফরোয়ার্ড এরিক ম্যাক্সিম চৌপো-মোটিং কাল যেভাবে গোল মিস করেছেন, তা যে কোনো ফরোয়ার্ডের জন্যই রীতিমতো দুঃস্বপ্ন। ভক্তদের ভুলতেও সময় লাগবে অনেক দিন। পিএসজি ভক্তদের এই ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’ হিসেবে যোগ হয়েছে। চৌপো-মোটিং গোলটি মিস হওয়ায় ম্যাচটি (২-২) জিততে পারেনি পিএসজি। জিতলে কালই লিগ জয় নিশ্চিত হতো টমাস টুখেলের দলের।
লিঁলের (৩১ ম্যাচ) সঙ্গে ২০ পয়েন্ট ব্যবধান নিয়ে টেবিলের শীর্ষে পিএসজি (৩০ ম্যাচ)। কালকের ম্যাচটি জিতলেই পরিসংখ্যানটা একেবারেই পরিবর্তন হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি। হতাশ হয়েছে দল, হতাশ হয়েছেন ভক্তরা। চৌপো-মোটিং এর মিস হওয়া গোলটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনাও কম হয়নি। অনেকের মতে, এটা ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে মিস না হলেও অন্যতম বাজে মিস তো বটেই।
চৌপো-মোটিং অবশ্য তার কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এটা ভীষণ লজ্জার, কারণ বলটা গোল হওয়ার পথেই ছিল। আমি দুঃখিত।'