ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপ; দুই আসর মিলে প্রায় ৭৪ দিনের লম্বা সফর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। যা হতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ সফর। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আগামী ১ মে থেকে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ৭ মে থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। শেষ হবে ১৭ মে। এরপরই শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। ২৪ মে থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেবে। ১৮ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত বিরতি পাবে বাংলাদেশ দল। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) খরচে ও তত্ত্বাবধানে ইংল্যান্ডে থাকবে বাংলাদেশ দল। লম্বা এই সফরটিতে পরিবার ছেড়ে থাকা আদতেই কঠিন।
তাই মাশরাফি-সাকিকসহ দলে সিনিয়র ক্রিকেটাররা দীর্ঘ এই সফরের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আয়ারল্যান্ডে সিরিজ শেষে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার বিসিবি’র পরিচালক আকরাম খান জানিয়েছেন, চাইলে তারা সেই বিশ্রাম নিতে পারবেন। শুধু তাই নয় চাইলে বিশ্বকাপের সময় পরিবারকে সঙ্গে রাখতে পারেবন মাশরাফি-সাকিবরা। এতে বিসিবি’র কোনো আপত্তি নেই।
তিনি আরও বলেন, খেলোয়াড়দের পরিবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি সব সময়ই আছে, যদিও আমাদের সময় এটা ছিল না। টিম ম্যানেজমেন্ট তখন অনেক বেশি সিরিয়াস ছিল। গত বিশ্বকাপেও আমরা খেলোয়াড়দের পরিবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছি। এতে কোনো সমস্যা নেই।
আয়াল্যান্ডে সফরের পর দেশে ফেরার ব্যাপারে আকরাম খান জানান, আসলে ব্যাপারটা হলো যে চার-পাঁচ দিনের মধ্যে দেশে ফিরে আবার ইংল্যান্ডে যেতে হবে। একটা টানা-হেঁচড়ার মতো অবস্থা। তবে কোনো খেলোয়াড় যদি দেশে আসতে চায় তাহলে বোর্ড পূর্ণ সহযোগিতা করবে। আমরা ‘না’ করবো না, যদি কেউ মাঝের বিরতিতে দেশে ফিরতে চায়।
প্রথমে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল বিবিসি ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেবে না। বিষয়টা পরিষ্কার করে দিলেন এ বোর্ড পরিচালক।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।