ইউরোপীয় ফুটবলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে অবশেষে জয় খরা কাটলো বার্সেলোনার। ইংলিশ ক্লাবটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেছে আরনেস্তো ভালভেরদের দল।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুধবার রাতে শেষ আটের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতে কাতালান ক্লাবটি। এই মাঠে স্বাগতিকদের সঙ্গে আগের চারবারের দেখায় দুবার হেরেছিল বার্সেলোনা, অন্য দুটি ড্র।
ঘরের মাঠে শুরুতে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললেও বেশিক্ষণ নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে রাখতে পারেনি ইউনাইটেড। দ্বাদশ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা।
সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চিপ শটে ডান দিকে সুয়ারেসকে বাড়ান মেসি। আর উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের হেডে বল ডিফেন্ডার লুক শ’র গায়ে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়। অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন লাইন্সম্যান, তবে ভিএআরের সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
৩১তম মিনিটে ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিংয়ের ট্যাকলে নাকে আঘাত পান মেসি। রক্ত পড়তে দেখা যায় বার্সেলোনা অধিনায়কের নাক থেকে। তবে সমর্থকদের দুশ্চিন্তা দূর করে সাইডলাইনে কিছুক্ষণ চিকিৎসা নিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি।
গোল খাওয়ার পর নিজেদের ঘর সামলে প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলায় মনোযোগ দেয় স্বাগতিকরা। তবে সুবিধা করতে পারেনি তারা। উল্টো ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পান ফিলিপে কৌতিনহো। তবে ডি-বক্সে অরক্ষিত ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের নেওয়া শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বার্সেলোনার রক্ষণে চাপ বাড়ায় ইউনাইটেড। ৫১তম মিনিটে ভালো সুযোগও পেয়েছিল তারা; কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে ভলিতে উড়িয়ে মারেন মার্কাস র্যাশফোর্ড।
৬৫তম মিনিটে ব্যববধান দ্বিগুণ করার আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেস। ছোট ডি-বক্সের ডান দিক থেকে তার কোনাকুনি শট লাগে পাশের জালে।
শেষ দিকে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে উলে গুনার সুলশারের দল। কিন্তু আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় নিশ্চিত কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। পুরো ম্যাচে লক্ষ্যে একটিও শট রাখতে পারেনি দলটি।
আগামী মঙ্গলবার বার্সেলোনার মাঠ কাম্প নউয়ে হবে ফিরতি পর্ব। সেখানে ড্র করলেই শেষ চারের টিকেট পাবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
দিনের আরেক মাচে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্সের মাঠ থেকে ১-১ ড্র করে ফিরেছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস।