ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে বৃষ্টি আইনে ১৫ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু ম্যাচ জিতেও তাদের কোনো লাভ হলো না। কারণ সুপার সিক্স নিশ্চিত করা শেষ দুই দল মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সাথে শাইনপুকুরের পয়েন্টের ব্যবধান ১। মোহামেডান-শেখ জামালের পয়েন্ট ১২, শাইনপুকুরের ১১। সুতরাং জিতেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরের শেষ দেখে ফেলল শাইনপুকুর।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামে শাইনপুকুর। ইনিংসের শুরু থেকেই খেলাঘরের ব্যাটম্যানদের বেকাদায় পড়ে যায়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে স্কোরবোর্ডে ৮৬ রান উঠতেই উপরের সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তারপরও লোয়ার-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় ১৯০ রান পর্যন্ত যেতে পারে খেলাঘর। আট নম্বরে নামা মাসুম খান সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক অমিত মজুমদার ৩৭ রান করে করেন। শাইনপুকুরের দেলোয়ার হোসেন ৩টি, হামিদুল-আফিফ ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ১৯১ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই ছিলো শাইনপুকুরের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও ভারতের উন্মুখ চাঁদের । ১০ ওভারে ৫৪ রান দলকে এনে দেন তারা। ৩৪ বলে ৩৪ রান করে থামেন চাঁদ। তবে ব্যাট হাতে রানের চাকা ঘুড়াচ্ছিলেন সাদমান। কিন্তু অন্য প্রান্ত দিয়ে যাওয়া-আসার মিছিলে ছিলেন শাইনপুকুরের মিডল-অর্ডার তিন ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক আফিফ হোসেন ১, তৌহিদ হৃদয়-অমিত হাসান ১০ রান করে করেন। তাই দলীয় ১১০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শাইনপুকুর।
এরপর পঞ্চম উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান সাদমান-উইকেটকিপার ধীমান ঘোষ। ততক্ষণে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। শেষ পর্যন্ত ১১২ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৪ রান করেন সাদমান। সাদমানের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর আউট হন দেলোয়ার (৩)। তবে রকিবুল হাসানকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন ধীমান। এই দুজনের ব্যাটেই ৪১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় শাইনপুকুর।
এরপর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। পরবর্তীতে আর খেলা শুরু করা সম্ভব না হওয়ায় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জয় পেয়ে যায় শাইনপুকুর। বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য ওই সময় শাইনপুকুরের দরকার ছিল ৪১ ওভারে ১৫১ রান। তাদের সংগ্রহে ছিল ১৬৫ রান। সুতরাং জয় আসে ১৫ রানের ব্যবধানে। ধীমান ৪৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৩১ রান করেন। রকিবুল ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। খেলাঘরের রবি-মঈনুল ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শাইনপুকুরের সাদমান।