গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ওই বিভাগের চেয়্যারম্যান সহকারী অধ্যাপক ইঞ্জি. মো. আক্কাস আলীর বিচার ও অপসারণের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, সোমবার সকালে প্রশাসনের সাথে আমাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের আলোচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেয়। এই কারণে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শুধু ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের দুই ছাত্রী ওই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু সে সময়ে অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত রবিবার অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপককে তার বিভাগের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া ছাড়াও চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। কিন্তু এই তদন্ত কমিটিকে আইওয়াশ হিসেবে উল্লেখ করে তা নিয়মমাফিক করা ও অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবিতে গত ৭ এপ্রিল থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা।