উপাধিটি আসলে হবে 'ফ্যান্টাস্টিক ফাইভ'। তবে যেহেতু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই রেকর্ড ভাগ বসাতে পারছেন না; তাই 'ফ্যান্টাস্টিক ফোর' দিয়েই শিরোনাম। আগামী মাসে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ দলে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল। এটি তাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ। এক সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তারা।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিনটি বিশ্বকাপ খেলার তালিকায় পেছনে পড়ে যাচ্ছেন বাঁ-হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক ও ডান-হাতি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল। রফিক ও আশরাফুল ৩টি করে বিশ্বকাপ পখলেন। রফিক ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ সালে এবং অ্যাশ ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালে বিশ্বকাপে অংশ নেন।
২০০৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি। এরপর ২০০৭, ২০১৫ আসরে খেলেন তিনি। ২০১১ সালে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলা হয়নি ম্যাশের। ওই আসরে খেলতে পারলে, গত বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি বড় আসরে খেলার রেকর্ড গড়তেন তিনি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচে ব্যাট হাতে ম্যাশ করেছেন ১৬৫ রান ও বল হাতে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। তার নেতৃত্ব ২০১৫ বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে কোয়ার্টারফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন তিনি।
আগামী বিশ্বকাপে মাশরাফির ডেপুটি সাকিব ২০০৭, ২০১১ ও ২০১৫ আসরে খেলেছিলেন। ২০১১ সালের আসরে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। তার নেতৃত্বে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিশ্বকাপ শেষ করে টাইগাররা। দেশের মাটিতে হওয়া ও আসরে গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে ৩ জয় ও ৩ হারের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সমান ৬ পয়েন্ট পেলেও, রান রেটে পিছিয়ে থেকে গ্রুপ পর্ব থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে বাংলাদেশ। ৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে ‘বি’ গ্রুপের শেষ দল হিসেবে কোয়ার্টারফাইনালে উঠেছিল ক্যারিবীয়রা।বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ২১টি ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে করেছেন ৫৪০ রান ও বল হাতে নিয়েছেন ২৩ উইকেট।
সাকিবের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে ২১টি করে ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম আর তামিম ইকবাল। যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। মুশফিক ব্যাট হাতে ৫১০ রান ও ১৮টি ডিসমিসাল করেছেন। তামিম ব্যাট হাতে ৪৮৩ রান। কিন্তু এদের কেউই বিশ্বকাপের মঞ্চে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে দুটিই করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদুল্লাহর জন্য আগামী আসরটি হবে তৃতীয় বিশ্বকাপ। অর্থাৎ বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ খেলার পথে রফিক-আশরাফুলের পাশে বসবেন মাহমুদুল্লাহ।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬টি করে বিশ্বকাপ খেলার বিশ্বরেকর্ড দখলে রেখেছেন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ভারতের শচীন টেন্ডুলকার। মিয়াদাদ- ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩, ১৯৮৭, ১৯৯২ ও ১৯৯৬ সালে এবং টেন্ডুলকার- ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপ খেলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫টি করে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড রয়েছে ১৬জন খেলোয়াড়ের।