বতর্মানে সারাদেশে ৩১০টি প্রেক্ষাগৃহে প্রজেকশন মেশিন রয়েছে। এগুলো বসানো ও তত্ত্বাবধানে রয়েছে দেশের শীর্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটি ঈদের আগে আরো বেশকিছু হলে নতুন ও অত্যাধুনিক প্রজেকশন মেশিন বসাতে যাচ্ছে। ফলে ডিজিটাল প্রজেকশন ক্ষমতা সম্বলিত প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৩০ টি। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। বুধবার দুপুরে কালের কণ্ঠকে বিষয়টি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও আলিমুল্লাহ খোকন।
তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী দেশে ২৭০ টি সিনেমা হল সচল থাকলেই যথেষ্ট। কিন্তু আমরা সক্ষমতা রেখেছি ৩১০ টি সিনেমা হলের। ২০১২ সালে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রে পা রাখে। ডিজিটাল সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করে সে বছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ভালোবাসার রং’ নামে ডিজিটাল সিনেমা নির্মিত হয়।'
আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, 'ভালোবাসার রঙ মুক্তির পর ডিজিটাল প্রজেকশন বসিয়ে দেশের কিছু হল ডিজিটাল করা হয়, এরপর ওই সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়। আমরা এখন দেশের ৩৩০ টি সিনেমা হলকে ডিজিটাল প্রজেকশন মেশিনের মাধ্যমে সক্ষম রাখবো। যদি কোনো বন্ধ হলের মালিক চায় তিনি হল চালু করবেন তাহলে আমরা সর্বাত্বক সহায়তা করবো।'
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সিনেমা মুক্তির জন্য আরো আধুনিক সফটওয়্যার ও সময়োপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্র প্রযোজকদের সিনেমা প্রযোজনা করায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভিপিএফ বিল যৌক্তিকভাবে কমানো হয়েছে। এছাড়া সিনেমা হলের সার্ভার, প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেমের ভাড়া ফ্রি করে দেয়া হয়েছে। সিনেমা হলগুলোতে সহযোগিতা করতে দক্ষ জনবলও নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে এ পর্যন্ত ৪০টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। আসছে ঈদুল ফিতরে এই প্রযোজনা
প্রতিষ্ঠানের ‘বেপরোয়া’ সিনেমাটি সারা দেশে মুক্তি পাবে।
‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটির মুক্তি প্রক্রিয়াধীন। সিনেমা শূন্য প্রেক্ষাগৃহ বাঁচাতে ভারত থেকে ৪টি সিনেমা আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় নতুন ৪টি সিনেমা নির্মাণ করা হবে। সিনেমাগুলোতে সিয়াম, পূজা, রোশান, নুসরাত ফারিয়া এবং ভারতীয় নায়ক-নায়িকার অভিনয় করার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে- ‘জ্বীন’ এবং শিশুতোষ সিনেমা ‘জিপিএস ট্রাকার’র। এটি আন্তর্জাতিক
ভাবে মুক্তি দেয়া হবে।এছাড়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা করছে
প্রতিষ্ঠানটি।