ভিনদেশি ব্যক্তিকে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করানো যাবে না, ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিধিমালায় এমন কোনো নির্দেশঅনা নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন দেশটির একজন নির্বাচন কর্মকর্তা।
ফিরদৌসের পর ফের বিতর্কে অন্য এক বাংলাদেশি অভিনেতা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের হয়ে ভোট প্রচারে অংশ নেওয়ার।
জনপ্রিয় বাংলাদেশি অভিনেতা ফেরদৌসকে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা বাতিল করে দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই বাংলাদেশের আরেক অভিনেতা গাজি আব্দুন নূর তৃণমূলের প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। রাজ্যের মানুষের কাছে গাজি নূর কয়েকটি জনপ্রিয় বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করার সূত্রে খুবই পরিচিত মুখ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং শিশির বাজোরিয়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেন। বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁরা একটি ভিডিও জমা দিয়েছেন কমিশনকে। সেইভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের রোড শোতে একটি প্রচার গাড়ি থেকে গাজি নূর জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। তাঁর পাশে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন যদিও বিজেপির করা ওই অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে কমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনী বিধিতে অন্য দেশের কোনও নাগরিককে দিয়ে নির্বাচনী প্রচার করানো যাবে না, এ বিষয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশ নেই। তাই গোটা বিষয়টি আমরা দিল্লিতে নির্বাচন সদনে জানাচ্ছি। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে প্রচার করে শোরগোল ফেলে দেন বাংলাদেশি নায়ক ফেরদৌস। সেক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি এবং সিপিএম। সূত্রের খবর, তার আগেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জরুরি ভিত্তিতে ফেরদৌসকে নিয়ে একটি রিপোর্ট পাঠান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেই রিপোর্ট দেখেই নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা ব্যুরো অব ইমিগ্রেশনের কাছে রিপোর্ট তলব করে।
সেই রিপোর্টে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয় যে ফেরদৌস তাঁর ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন। তার পরই তাঁর ভিসা বাতিল করে কালো তালিকাভুক্ত করে মন্ত্রণালয়। জানানো হয় বাংলাদেশ দূতাবাসকেও। মঙ্গলবারই ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি।
গাজির বিরুদ্ধেও একই রকম কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত। ইতিমধ্যেই কলকাতার এফআরআরও দফতরকে গাজির ভিসা সম্পর্কিত বিশদ তথ্য পাঠাতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই দফতর কলকাতা পুলিশের আওতাধীন। সেই রিপোর্ট পেলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সূত্র- আনন্দ বাজার