ফেসবুকে সম্পর্ক, অপহরণ, অতঃপর ... | Daily Chandni Bazar ফেসবুকে সম্পর্ক, অপহরণ, অতঃপর ... | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ১৭:৫৫
ফেসবুকে সম্পর্ক, অপহরণ, অতঃপর ...
অনলাইন ডেস্ক

ফেসবুকে সম্পর্ক, অপহরণ, অতঃপর ...

ফেসবুক প্রোফাইলে সুন্দরী মেয়ের ছবি। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর পর তৈর হয় প্রেমের সম্পর্ক। তার এক মাসের মধ্যে ডেটিংয়ের প্রস্তাব আসে রায়হানের (২৪) কাছে। রায়হানও ছুটে যান কথিত প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে, তিনি বোঝেননি আসলে তিনি ফেক আইডির ফাঁদে পড়েছেন। ডেটিংয়ের কথা বলে তাকে করা হয় অপহরণ। নির্যাতন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন প্রেমিকা কাজল বেগম। ছয় দিন আটকে রেখে অপহৃত রায়হানকে শারীরিক নির্যাতনের পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণ পাওয়ার পরও বাকি টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়া শুরু করে অপহরণকারী চক্র। 

বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাভারের আমিন বাজার থেকে কথিত প্রেমিকাসহ অপহরণ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৪। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির। অপহরণ চক্রের সদস্যরা হলেন- আজিজুল হাকিম (৪০), লিটন মোল্লা (২৬), কাজল বেগম (২৬), নজরুল ইসলাম বাবু (৪২), নুরু মিয়া মোল্লা (৬২)।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, রাজধানীর কলাবাগান থেকে গত ১২ এপ্রিল রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে অপহরহণকারীরা রায়হানকে অপহরণ করে সাভারের আমিন বাজারে নিয়ে আটকে রাখে। ছয় দিন তাকে আটকে রেখে নির্যাতনের পর পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। রায়হানের মোবাইল থেকে তার বাবা ও বোনের নম্বর সংগ্রহ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণে রফা হয়।

চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, রায়হানের পরিবারের সাথে অপহরণ চক্রের চালক বাহার যোগাযোগ করে মিরপুরের ষাট ফিট ভাঙা ব্রিজের কাছে দেখা করে সিগারেটের বক্সের ভেতরে এক লাখ টাকা নিয়ে আসেন। বাকি ৪ লাখ টাকা না দিলে রায়হানকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারীরা জানায়, তারা ১০ বছর ধরে ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও চাকরিজীবী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন ও কৌশলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছেন।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার নুরু মিয়া মোল্লা (৬২) ও কাজল বেগম (২৬) বাবা-মেয়ে পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়। ভাড়া বাসাতেই তারা অপহরণ করে নিয়ে এসে নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবি করতেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টের পাওয়ার ভয়ে এক মাস কিংবা দুই মাস পর পর তারা বাসা পরিবর্তন করে ফেলতেন।