আগুন সন্ত্রাসের শিকার নুসরাত জাহান রাফির সঙ্গে নিজের তুলনা করেছেন সঙ্গীতশিল্পী মিলা। সংসার করার তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মিলা সম্প্রতি বলেন, “কত কত জীবিত নুসরাত। আইনের কাছে দাঁড়ান দিনের পর দিন কিন্তু না মেরে ফেলা পর্যন্ত তাদের জন্য কোনো আওয়াজ উঠবে না। আইন দেশের সুন্দর । দুই বছর হয়ে যাচ্ছে কোর্টে উল্টা জঘন্য ভাবে চিৎকার দিয়ে অপবাদ দেওয়া হয় আমাকে। বিচার তো দূর। দাখিল করা ‘খ’ ধারার চার্জশিট আমাকে না বুঝতে দিয়ে ‘গ’ ধারায় মামলার চার্জ গঠন করা হয়।”
১০ বছর প্রেম করে পাইলট পারভেজ সানজারিকে মিলা বিয়ে করেন ২০১৭ সালে। বিয়ের ১৩ দিন পরই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। এরপর বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন তাঁরা।
গত ১৬ এপ্রিল দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে মিলা বলেন, ‘আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, আমার জানা ছিল, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কোনো রকমের হস্তক্ষেপে নেত্রীর কঠোর নিষেধ রয়েছে। তিনবার আদালতের আদেশ টানা অমান্য করলে জামিন বাতিল হওয়ার কথা। পাঁচবার আমাকে কোর্ট নানান বুঝ দিয়ে পার্মানেন্ট জামিন দেয়। আমি এখন বলতেও পারি নাই শেষের দিন আমার শাশুড়ি, আমার স্বামীর কথায় আমাকে কীভাবে বাথরুম থেকে দরজা ভেঙে বিনা কাপড় পরিহিত অবস্থায় জঘন্য ভাবে টেনে বের করে আমার দেবর তার স্ত্রী এবং তার স্ত্রীর বাবা মায়ের সামনে এক ঘণ্টা গালিগালাজ করতে থাকে। আমার বাবা ভাইবারে ভিডিও কলের মাধ্যমে পুরা ঘটনা দেখে। একপর্যায়ে আমি হাত জোড় করে ভিক্ষা চাই এই বলে, আম্মু আমাকে মেয়ে বলে নিয়ে আসছিলেন, আমার গায়ে কাপড় নাই… দয়া করে আমাকে ঘরের দরজা বন্ধ করে যা বলার বলেন…কিন্তু এই অপমান করেন না। ভিডিওটা এখনো আমার কাছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে মিলা আরো বলেন, ‘এর চাইতে কাপড় পরা অবস্থায় আমার গায়ে আগুন দিয়ে দিত... আমি যাই বললাম তাতে পুরা মিডিয়া, শিল্পীরা, আমার ভক্তরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার কথা... কাপড় ছাড়া ওই ছেলেকে রাস্তায় নামিয়ে জুতার বাড়ি দিয়ে মারার কথা... তাই না? আমার এই পোস্টটাই তো সবার শেয়ার করার কথা তাই না? কেও করবে নাহ্... কেও নাহ.. কারণ আমি বেঁচে আছি…এই মিলা কেন এখনো প্রতিদিন চিৎকার করে কাঁদে উত্তর পাও তোমরা? আমি দেশের জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী?”
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মিলাকে পাওয়া যায়নি।