বাংলাদেশি অভিনেতা ফেরদৌস এবং গাজি নূরের অংশ নেওয়া নিয়ে বিতর্কের ইস্যুতে প্রথমবার মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে জেতার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব কিছু করতে পারেন। তাই বাংলাদেশি এনে ভোটের প্রচার করাচ্ছেন।
সীমান্তবর্তী জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে এসে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, এ রাজ্যে একটাই কাজ হয়- অনুপ্রবেশ। সেনার কথায় বিশ্বাস না করে দিদি জঙ্গি মারার হিসাব চান। ইতিহাসে কখনো হয়নি, ভিনদেশি নাগরিক এনে ভোটের প্রচার করা হয়েছে, দিদি সেটাও করেছেন। অনুপ্রবেশের হিসাব আপনি দিন এবার! শুধুই তোষণের রাজনীতি করেন। অন্যদেশ থেকে লোক এনে প্রচার করাচ্ছেন।
প্রতিটি প্রচারসভাতেই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'এনআরসি' হতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। সেই বিতর্কে মোদির জবাব, ভুল বোঝানো হচ্ছে। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভুল বোঝানোর চক্রান্ত চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, মা-মাটি-মানুষের নামে বাংলার জনতাকে লুট করেছেন মমতা দিদি। আগে ওনাকে সততার প্রতীক ভাবতাম আমি। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আমার ভুল ভাঙল। আমি ভুল বুঝেছিলাম, লোকে তো ভুল বুঝবেই। তবে ২৩ মে'র পর স্পিডব্রেকার দিদি বুঝবেন লুট ও গুণ্ডামির পরিণাম কী হতে পারে।
এ ছাড়াও সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেককে আক্রমণ করেন মোদি। তিনি বলেন, পিসি-ভাতিজা মিলে রাজ্যের সংস্কৃতি নষ্ট করছে। এ দিনের ইস্যুভিত্তিক আক্রমণের একটি বড় অংশজুড়েই ছিল খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছেন বলেও কটাক্ষ করেন মোদি।