বার্সেলোনার রাস্তায় মেসি-সুয়ারেসের সাক্ষাতে বাংলাদেশি তরুণ | Daily Chandni Bazar বার্সেলোনার রাস্তায় মেসি-সুয়ারেসের সাক্ষাতে বাংলাদেশি তরুণ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০১৯ ১৭:৪৮
বার্সেলোনার রাস্তায় মেসি-সুয়ারেসের সাক্ষাতে বাংলাদেশি তরুণ
অনলাইন ডেস্ক

বার্সেলোনার রাস্তায় মেসি-সুয়ারেসের সাক্ষাতে বাংলাদেশি তরুণ

বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেট তারকা মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালরা কাতালান ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার খুব ভক্ত। ক্যাম্প ন্যুতে গিয়ে খেলাও দেখে এসেছেন। গ্যালারিতে খুব কাছ থেকে দেখেছেন স্বপ্নের তারকা লিওনেল মেসিকে। কিন্তু এবার যা ঘটল, তা নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। বার্সেলোনার রাস্তায় বার্সার দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি আর লুইস সুয়ারেসের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল এক বাংলাদেশি তরুণের। যিনি গত দেড় বছর ধরে বার্সেলোনায় আছেন। ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই সাক্ষাতের গল্প।

রাত তখন ১১টা। কাজ শেষ করে বার্সেলোনা বিমানবন্দরের কোলঘেঁষা কাস্তিলদাফেলস সৈকতসংলগ্ন একটি রাস্তায় বাসায় ফেরার জন্য গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন ইকবাল হৃদয় নামের চট্টগ্রামের ওই তরুণ। হঠাৎ চোখে পড়ল ল্যাম্পপোস্টের নিচে খেলা করছে মেসির ছেলে মাতেও! চিনতে এতটুকু ভুল হয়নি তার। তারপরেও ব্যাপারটা বিশ্বাস হচ্ছিল না তার। কাছে এগোতেই চক্ষু চড়কগাছ! ছোট ছেলেকে বেবি সিটে বসিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটছেন লুইস সুয়ারেস!

সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে হৃদয় সোশ্যাল সাইটে লিখেছেন, 'সুয়ারেসের সঙ্গে ওর বান্ধবী না স্ত্রী, তা নিশ্চিত ছিলাম না। সঙ্গে বেবি সিটে বসানো একটা বাচ্চা ছিল। আমি ছবি তুলতে চাইলে খুব আনন্দ নিয়েই আমার সঙ্গে ছবি তুললেন। হাই-হ্যালো হলো। আমি চ্যাম্পিয়নস লিগের পরবর্তী ম্যাচের জন্য শুভকামনা জানালাম। জবাবে সে আমাকে ধন্যবাদ জানাল।'

সুয়ারেসের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পর হৃদয়ের জন্য যে আরও বড় চমক অপেক্ষা করছিল, সেটা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। মাথা ঘোরাতেই হৃৎপিণ্ডই খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে আসার মতো অবস্থা হয় তার! চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিস্ময় লিওনেল মেসি! স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে নিয়ে হাঁটছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। হৃদয় বেড়ে চলা হার্টবিটের ধকল সামলে ছুটে যান তার কাছে। বাড়িয়ে দেন হাত। তারপর?

হৃদয়ের কথাতেই শোনা যাক, 'সুয়ারেসকে দেখার পর মেসিকেও দেখব, এটা তো কল্পনাতেও ছিল না। মেসির সঙ্গে হাত মেলানোর সময় আমার হাত কাঁপছিল। ছবি তুলতে চাইলে সাধারণ এক মানুষের মতোই ছবি তুললেন। আমি তখনো উত্তেজনায় কাঁপছি। মুখ দিয়ে কথাই যেন বের হচ্ছিল না। কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞাসা করলে বললেন, সকালে বাচ্চাদের স্কুলে দিতে হবে। তাই ঘরে ফেরার তাড়া আছে। এই বলেই তিনি আমাকে বিদায় জানান।'