দুঃস্বপ্নের ওভার শেষে মাঠেই কাঁদলেন কুলদীপ | Daily Chandni Bazar দুঃস্বপ্নের ওভার শেষে মাঠেই কাঁদলেন কুলদীপ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০১৯ ১৭:৫৩
দুঃস্বপ্নের ওভার শেষে মাঠেই কাঁদলেন কুলদীপ
অনলাইন ডেস্ক

দুঃস্বপ্নের ওভার শেষে মাঠেই কাঁদলেন কুলদীপ

নাইট বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচে বিরাটদের ব্যাটিংয়ের তখন ১৬ ওভার। ব্যক্তিগত শেষ ওভারের জন্য বল হাতে ‘চায়নাম্যান’ কুলদীপ যাদবকে ডেকে পাঠালেন নাইট কাপ্তান দীনেশ কার্তিক। এরপর যেটা হলো সেটা দ্রুত ভুলতে চাইবেন ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে কোহলির দলে স্পিন বিভাগের অন্যতম ভরসা। 

ওভারের অন্তিম বলে মঈন আলির উইকেট পেলেন বটে কিন্তু তার আগে ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারে ৩টি ছয় ও ২টি চার সহযোগে ২৭ রান হজম করে ফেলেছেন কুলদীপ।

স্বাভাবিকভাবেই ওভার শেষে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না। অন্তিম ওভারে মইন আলির নির্দয় ব্যাটিংয়ের পর মাঠেই কেঁদে ফেললেন বছর চব্বিশের এই স্পিনার। শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে ৪ ওভারে ৫৯ রান খরচ করে স্পিনার হিসেবে আইপিএলে যুগ্মভাবে সবচেয়ে দামী স্পেলটি উপহার দেন কুলদীপ। এরপরই সাইডলাইনে এসে হাঁটু গেড়ে বসে কাঁদতে দেখা যায় আন্তর্জাতিক আঙিনায় দেশের প্রথম ‘চায়নাম্যান’ বোলারকে।

 

ঘটনার পর কুলদীপকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে যান সতীর্থ নীতিশ রানা, প্রসিধ কৃষ্ণা, ক্রিস লিনরা। টেলিভিশনের পর্দাতেও এই ঘটনার সাক্ষী থাকেন অনুরাগীরা। সে যাইহোক, আরসিবি ম্যাচে এদিনের দুঃস্বপ্নের স্পেল খুব দ্রুত ভুলতে চাইবেন কুলদীপ। বিশ্বকাপের আগে খানিকটা হলেও যা চিন্তায় রাখবে দলের থিঙ্কট্যাঙ্ককে।
 
চলতি আইপিএল এমনিতেও খুব একটা ভালো যাচ্ছে না কুলদীপের জন্য। ৯ ম্যাচে এ যাবৎ মাত্র ৪টি উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। গড় ৭১.৫০। যা বিশ্বকাপের আগে একেবারেই ভালো লক্ষণ নয় ‘অটোমেটিক চয়েস’ কুলদীপের জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে তার পারফরম্যান্স তাকে অপরিহার্য করে তুলেছে ভারতীয় দলে।

তবে চলতি আইপিএলে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের আগে চিন্তায় ছিলেন কুলদীপ নিজেও। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি আগেই জানিয়েছেন সে কথা। ইন্ডিয়া টু’ডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কুলদীপ জানান, ‘চলতি আইপিএলে নজর দিলে দেখা যাবে আমি প্রত্যাশা অনুযায়ী উইকেট নিতে ব্যর্থ। ব্যাটসম্যানরা আমায় বুঝে নিরাপদ খেলার চেষ্টা করছে। কোনওভাবেই তারা আমায় উইকেট ছুঁড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নয়।’

নাইট স্পিনারের এই কথা থেকেই স্পষ্ট দল নির্বাচনের আগে যথেষ্ট চাপে ছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপ দলে দ্বিধাহীন ভাবে সুযোগ পেলেও ইডেনে আরসিবি’র বিরুদ্ধে এদিনের পারফরম্যান্সে কার্যত মুষড়ে পড়েছেন কানপুরের স্পিনার। 

ম্যাচ শেষে তাই জানান, ‘ইডেনের পিচ স্পিনার সহায়ক মোটেই ছিল না। কিন্তু এতটা খারাপ পারফরম্যান্সও প্রত্যাশিত ছিল না।’