রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখানে একটি ক্লিনিকে ১৩ বছরের মেয়েশিশু রোগীকে হাত-পা বেঁধে এক চিকিৎসক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। এই ঘটনায় শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার পর ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের সঙ্গে দুপুরের দিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিল ওই ছাত্রী। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আবার বিকেলের দিকে থানায় চলে যায় মামলা করতে। মেয়েটির বাবা জানান, তাঁরা উত্তরখান এলাকায় থাকেন। ২৩ এপ্রিল জ্বর থাকার কারণে মেয়েকে নিয়ে তিনি দক্ষিণখান চালাবন এলাকায় অবস্থিত ‘দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা’ নামের একটি ক্লিনিকে যান। সেখানে যাওয়ার পর পল্লি চিকিৎসক ওই শিশুকে দেখেন এবং প্রেসক্রিপশনে ‘সিডিল’ নামে একটি ওষুধের নাম লিখে তাঁকে তা আনতে পাঠান। মেয়েটির বাবা বলেন, তিনি মেয়েকে ক্লিনিকে রেখে ওষুধ আনতে যান। দীর্ঘ এক-দেড় ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর সেই ওষুধ নিয়ে তিনি ক্লিনিকে যান। এরপর চিকিৎসা শেষে মেয়েকে বাসায় নিয়ে যান। বাবা অভিযোগ করেন গতকাল তার মেয়ে পরিবারের কাছে সব ঘটনা খুলে বলেছে যে ওই দিন তার বাবা ক্লিনিকের বাইরে গেলে ওই চিকিৎসক তার হাত-পা বেঁধে এবং একটি ট্যাবলেট খাইয়ে ধর্ষণ করেন। তবে গ্রেপ্তারের আগে ওই পল্লি চিকিৎসক অভিযোগের কথা অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই মেয়েটি আমার ক্লিনিকে এসেছিল। তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। এ ছাড়া অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। তার পরিবারের সবাই আমার কাছে আসত চিকিৎসার জন্য। মেয়ের ফুফুর কাছ থেকে জমি কেনা হয়। এই জমি নিয়ে তার সঙ্গে আমার বিরোধ চলছিল।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘এই বিরোধের কারণে তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই নাটক করছে’। দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শফিকুল গনি সাবু জানান, রাতে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। মামলার নম্বর ৫৫। এই মামলায় পল্লি চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্তারিত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য রাত ১২টায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।