‘দেশপ্রেমের শপথ নিন, দুর্নীতিকে বিদায় দিন’ স্লোগানে রবিবার সকালে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমীতে শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) এ.এফ.এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। নীতি বিরুদ্ধ কাজের মাধ্যমে দেশ ও দশের যারা ক্ষতি করছে বা করেছে তাদের কেউ ছাড় পাবেনা। দুর্নীতি দমনে দুদক জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সারাদেশে দুপ্রক নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। এখন সময় বাংলার সাধারণ মানুষের সচেতন হওয়ার এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিকে লাল কার্ড প্রদর্শন করা।
দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে প্রতি বছরের ন্যায় আয়োজিত সারাবছরের প্রতিরোধমূলক কাজের বিচারে শ্রেষ্ঠ জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আনওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুদক বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো: মোর্শেদ আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশ রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) এ.কে.এম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিদ হোসেন এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদের। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মো: মুনিরুজ্জামান, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান প্রমুখ। ২০১৮ সালের সারা বছরের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম যেমন: সততা সংঘ সঠন, সততা ষ্টোর উদ্বোধন, দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতামূলক সভা,সমাবেশ, মানব-বন্ধন, শপথ বাক্য পাঠ সহ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ইত্যাদি নানা কার্যক্রম যেগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতি থেকে দূরে রাখবে এমন নানা বিচারে এই বছর রাজশাহী বিভাগে শ্রেষ্ঠ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নির্বাচিত হয়েছে বগুড়া। সেই সাথে বিভাগে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি হিসেবে নাচোল চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোদাগাড়ি এবং উল্লাপাড়া পুরস্কৃত হয়েছেন। শ্রেষ্ঠ জেলা নির্বাচিত হওয়ায় বগুড়া জেলা দুপ্রকের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য যথাক্রমে এ্যাড. বিনয় কুমার দাষ, জাহাঙ্গীর হোসেন তোতা, বাবুল আখতার রিপন, হারুনার রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম, ইমতিয়াজ আহমেদ, সঞ্জু রায় এবং নূরদিয়া জাহানের হাতে প্রধান অতিথি শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। পুরস্কার বিতরণ এবং সভা পরবর্তী রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা, নাচ ও গানের মধ্য দিয়ে সকলকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়।